Posts

Showing posts from November, 2019

ওহাবি আক্বিদা বনাম সুন্নি আক্বিদা।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্। ★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★ ★ পোস্ট নং--৪৮ ★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ♦ওহাবি আক্বিদা বনাম সুন্নি আক্বিদা♦ ♣ এখানে শুধু তাবলিগীদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভ্রান্ত আক্বীদা তাদের কিতাবের উদ্ধৃতি সহকারে পেশ করা হলো। ★তাবলিগী আক্বীদা-০১ মুসলমান দু'প্রকার হতে পারে। তৃতীয় কোন প্রকার নেই। (১) যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয় এবং (২) যারা আল্লাহর রাস্তায় গমনকারীদের সাহায্য করে। (মালফুযাত, পৃষ্ঠা ৪৩)। • আকায়েদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত সপ্ত বিষয়ে আন্তরীক বিশ্বাস স্থাপনকারী নিঃসন্দেহে মুমিন মুসলমান। তাবলিগীদের এ বিভক্তিকরণ কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী। এতে বুঝা যায় যে, যারা প্রত্যক্ষভাবে তাবলিগে অংশ গ্রহণ করে আর যারা অংশ গ্রহণকারীদের সাহায্য করে তারাই মুসলমান। যারা নিজে তাবলিগ করেনা এবং তাবলিগকে সাহায্যও করেনা তারা দু'প্রকারের কোন প্রকারে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় মুসলমান নয়। কারণ তাবলিগীদের মতে মুসলমানের তৃতীয় কোন প্রকার নাই। নিজেরা ব্যতীত অন্যদের মুসলমান মনে না করা খারেজী ওহাবীদের অন্যতম ভ্রান্ত আক্বীদা। ★তাবলিগী আক্বীদা-০২

তাবলিগী জামাত।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্। ★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★ ★ পোস্ট নং--৪৪ ★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। --------------------------------- ♦তাবলিগী জামাত♦ --------------------------------- ♣ তাবলিগ জামাত -এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন মৌং ইলিয়াছ মেওয়াতি কাম্পালতী বাল্যকালে শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে মৌং রশিদ আহমদ গাহীর নিকট হাজির হন। দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ তার নিকট শিক্ষা লাভ করেন। ছাত্র জীবনেই তিনি গাংগুহীর নিকট মুরীদ হন। মৌং আলী হাসান নদভী হযরত মৌং ইলিয়াস আওর উনকি দাওয়াত’ নামক কিতাবের ৪৫ পৃষ্ঠায় লিখেন, "হযরত যৌং ইলিয়াস জনাব গাংগুহীর সোহবত এবং তার মজলিসের সম্পদ সাত দিনে লাভ করেন। মৌং ইলিয়াস দশ বছর হতে বিশ বছর বয়স পর্যন্ত মোট দশ বছর কাল গাংগুহীর সোহবতে থাকেন। মৌং গাংগুহীর মৃত্যুর পর মৌং ইলিয়াস মৌং মাহমুদুল হাসানের নিকট মুরীদ হতে চাইলে তিনি তাকে মৌং খলীল আহমদ। আম্বটভীর নিকট মুরীদ হতে বললেন; অতঃপর তিনি মৌং খলীল আহমদের নিকট মুরীদ হলেন। (তাবলিগ দপন, পৃষ্ঠা ৫৯ ও ৬০)। আলোচ্য উদ্বৃতি দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, প্রচলিত তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মৌং ইলিয়াস দু'জন প্রখ্য

যে কারণে ফতোয়ায়ে রজভিয়ার বিরোধীতা।

যেসব কারণে ফতওয়ায়ে রযবিয়্যাহ-'র বিরোধিতা : - কাজী মুহাম্মাদ আবু-সাঈদ সাগে-আল-মাদানী। ফতওয়া (فتوى‎)। আরবি শব্দ। এর বহুবচন ফাতাওয়া فتاوى‎)। যার অর্থ- 'বিধান বা সমাধান।' যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামি শরিয়তের দলিলের আলোকে অভিজ্ঞ মুফতি বা ইসলামি আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন। যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা ফিকহের আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন, তখন তিনি মুফতির কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসতিফতা (اِسْتِفْتَاء) বলা হয়। মুফতি তখন ইসলামি শরিয়তের আলোকে সমস্যাটির সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকেই ইফতা (إِفْتَاء ) এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতওয়া (فتوى‎) বলা হয়। ফতওয়া দেয়ার অধিকার সকলের জন্য অবারিত বা উন্মুক্ত নয় বরং যিনি ফকিহ বা মুফতি কেবল তিনিই ফতওয়া দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন। ফতওয়া বিভাগের সনদপ্রাপ্ত আলেম ছাড়া যে কোন কেউ ফতওয়া দিতে পারবেন না, এটা কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী ও বেআইনী। এবং এতে ফেৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি ও সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।  মুফতি বা ফকিহ না হলে জাতীয় মসজিদের খতিবও ফতওয়া দিতে পারেন না, অথবা যে কোন পির যত বড় বু

নজদির ভ্রান্ত আকাঈদ।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্। ★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★ ★ পোস্ট নং--৪৩ ★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ♦ইবনে তাঈমিয়ার আক্বিদা-বিশ্বাস♦ ♣ তাইমীয়া ৬৬১ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ভ্রান্ত আকীদার কারণে ৭০৫ হিজরীতে কারারুদ্ধ হন। অতঃপর তাওবা করলে ৭০৭ হিজরীতে কারামুক্ত হন।  পুনরায় ভ্রান্ত আক্বীদা প্রচারে লিপ্ত হলে দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হন । পুনরায় তাওবা করলে মুক্তি লাভ করেন। এবারও সে ভ্রান্ত আকীদা প্রচারে লিপ্ত হলে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারারুদ্ধ অবস্থায় ৭২৮ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন। বিশ্ববরেণ্য আলেমগণ এ বিতর্কিত ব্যক্তির ভ্রান্ত মতবাদ খন্ডন করেন এবং তাকে ঘৃণা করতেন। অপরদিকে ওহাবী ও মওদুদী মতাবলম্বীগণ তাকে হিজরী সপ্তম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও শাইখুল ইসলাম ইত্যাদি সম্মানসূচক উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন। ইবনে তাইমিয়াই প্রথম ব্যক্তি যিনি “মদীনা শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করাকে হারাম” ফতোয়া দেন। মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাব নজদী ইবনে তাইমিয়ার কিতাব দ্বারা বেশী প্রভাবিত হয়ে মুসলমানদের মধ্যে “ওহাবী ফিতনার জন্ম দেন। • নিম্নে তার ভ্রান্ত আকীদা সংক্ষেপে পেশ করা হলো ১. আল্লাহ