Posts

Showing posts from March, 2019

ইমাম শেরে বাংলা রহঃ জিবনী।

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" পুরো লিখাটা পড়ুন। #সামাজিক_ও_রাজনৈতিক_জীবন Islam is a complete code of life. ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনে ব্যবস্হার নাম। শুধুমাত্র মসজিদ ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবব্ধ রাখার জন্য ইসলামের আবির্ভাব নহে । জীবনের প্রতিটি স্তরে ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণ -এটাই হচ্ছে একজন খাঁটি মুসলমানের দর্শন। সামাজিক ও রাষ্ট্রিয়ভাবে ইসলামের প্রতিফলন-এটাই ইসলামের শিক্ষা। মোজাদ্দেদে মিল্লাত হযরতুল আল্লামা গাজী সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহঃ) ছিলেন এরূপ সার্বজনীন আদর্শের বাস্তব মডেল। তাঁর চরিত্র ছিল 'উসওয়ায়ে হাসানা'র মূর্ত প্রতীক। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুপম আদর্শের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিপূর্ণ সংস্কার সাধন-এটাই ছিল তাঁর জীবনের মহান ব্রত ও স্বপ্ন । তাই সুন্নীয়তের মহান আদর্শ প্রচার ও প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। ঈমান ও ইসলাম রক্ষার তাগিদে বাতিলপন্হীদের সার্বিকভাবে বয়কট করে সমাজের সর্বস্তর থেকে তাদের উচ্ছেদ সাধন -এটাই ছিল তাঁর জিবনের সংগ্রাম। তিনি বিশ্বাস করতেন সুন্নি মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যেই ম

গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী

Image
ইসলাম প্রচারে খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী ’র অবদান সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين. أما بعد! মহান রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে মানুষের পথ প্রদর্শন ও সর্বাঙ্গীণ কল্যাণের নিমিত্তে অসংখ্য নবী ও রাসুল পৃথিবীর বুকে প্রেরণ করেছেন। মানব সমাজ ভুল ভ্রান্তির দিকে ধাবিত হওয়ার ফলে সারা জগত যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন খলকে খোদার পথপ্রদর্শক ও ত্রাণকর্তা হিসাবে নবী ও রাসুলের আবির্ভাব হয়। এইভাবে হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম পর্যন্ত একজনের পর একজন নবী ও রাসুলের আগমনের হক সিলসিলা জারি থাকে। নবী- রাসুলগণের ধারবাহিকতা সমাপ্ত হবার পর আরম্ভ হয় বেলায়তের সিলসিলা। ঠিক তেমনিভাবে পাক-বঙ্গ-ভারত তথা উপমহাদেশে হেদায়তের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন খোরাসানের অন্তর্গত সঞ্জর নামক গ্রামে আতায়ে রাসুল হিন্দল অলী হযরত খাজা গরীব এ-নেওয়াজ  এর আবির্ভাব ঘটিয়েছেন। পাক ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে যার অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণারে লিপিবদ্ধ রয়েছে তিনি হলেন সুলতানুল হিন্দ আতায়ে রাসুল গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ।

খাজা আজমেরীর জিবনী।

Image
১৮৯৯ সালে জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন (লর্ড কার্জন) যখন ব্রিটিশ ভারতের ক্ষমতায় বসেন, তার কিছুদিন পরে তিনি একটি যুগান্তকারী মন্তব্য করেন, যে ভারতের ইতিহাসে দুজন ব্যক্তি তাদের মৃত্যূর হাজার বছর পরেও ভারতীয় জনতার হৃদয় শাসন করছে একজন হলেন সম্রাট আওরঙ্গজেব আরেক জন খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী। সম্রাট আওরঙ্গজেব এর ক্ষেত্রে পুরোপুরী সত্য না হলেও খাজায়ে আজমীর এর ক্ষেত্রে এ কথা আজো দিবালোকের মত সত্য। আজো ধর্মবর্ন নির্বিশেষে সবাই ধরনা দেয় আমার খাজার দরবারে।  সে অনেক আগের কথা, ১৪ই রজব ৫৩৬ হিজিরী সনে ইরানের সিস্তান এলাকার সানজার গ্রামে এ পৃথিবীর মাটি হাওয়া আর ফুলকে অভিভুত করে জন্ম নিলেন, খাজায়ে আজমীর। মাত্র ১৫ বছর বয়সে যখন পিতা হারান তখন পুরো পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। পিতার রেখে যাওয়া আঙ্গুর বাগান ছিলো একমাত্র উপার্জনের হাতিয়ার, এরমধ্যে মা ও দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন। খাজায়ে আজমীর। মায়ের মৃত্যূ তাকে এতটাই শোকাহত করলো যে তিনি জীবনের প্রতি সব উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন।  কিন্তু যার জন্ম হয়েছে সুলতানুল হিন্দ হয়ে, যার জন্ম হয়েছে এই উপমহাদেশের অন্ধকারে আলো ছড়াতে তিনি কি করে এতো দ্রুত হারিয়ে যান? খাজায়ে আজমীর এর

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।

Image
হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশ্তী (রঃ) সিস্তান রাজ্যের সন্জ্ঞর গ্রামে ৫৩৩ হিজরী ও ১১৩৮ ইংরেজি সালে জন্ম গ্রহন করেন। উনার পিতার নাম গিয়াসুদ্দিন ও মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা।পরে স্বপরিবারে খোরাসান শহরে( বর্তমান আফগানিস্তান) হিজরত করেন।মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে বাবা – মা উভয়কেই হারান। একদিন নিজ জমিতে কাজ করে পরিশ্রান্ত অবস্তায় বিশ্রাম নিছিছলেন।এমন সময় সেখানে এসে উপস্হিত হলেন এক অচেনা আগন্তুক। কিশোর খাজা মইনুদ্দিন তাকে বাগানের কিছু আঙ্গুর এনে আপ্যায়ন করলেন। আগন্তুক ছিলেন আল্লাহর এক অলিআল্লাহ,হজরত ইব্রাহিম কান্দুযী(রঃ)। খুশী হলেন কিশোরের আপ্যায়নে।হাত তুলে দোয়া করলেন অনেকক্ষন।তারপর ঝুলি থেকে বের করলেন এক টুকরো শুকনো রুতি।রুটির একাংশ কিছুক্ষন চিবুলেন তারপর অন্য অংশটুকু মইনুদ্দিনকে খেতে দিলেন।আদেশ পালন করলেন মইনুদ্দি একটু পরেই উছ্ছিষ্ট রুটির প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হতে শুরু করলো।বিস্মিত হলেন । অন্তরের আছছাদন যেন উবে যাছেছ একে একে।অদ্ভুত এক জ্যোতির্ময় অনুভব এসে ধীরে ধীরে আলোকিত করছে হৃদয়ের সর্বত্র।দরবেশ চলে গেলেন।অন্তরে জ্বালিয়ে দিয়ে গেলেন আল্লাহ প্রেমের অনন্ত অনল।এই হলো অলিআল্লাহদের তাওয়াজ্জোহ এর ফল। মইনুদ্দ

ইমাম শেরে বাংলা রহঃ এর জিবনী।

Image
মোজাদ্দেদে জামান,  তাজুল ওলামা, হযরত মাওলানা শাহ্ সৈয়দ রাহাতুল্লাহ্ রিয়মনগরী রহঃ এর ১পবিত্র মাযার শরীফে সংঘটিত একটি বিশেষ ঘটনা। রাঙ্গুনিয়া থানার অন্তর্গত মরিয়মনগর নিবাসী পীরে কামেল, নায়েবে সদরুল আফাযিল হযরত মাওলানা শাহ্সূফী সৈয়দ মোহাম্মদ বিসমিল্লাহ শাহ নঈমী (রহঃ) এর বড় শাহজাদা জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ ক্বদির সাহেব প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে এ ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন,গাজী শেরে বাংলা (রহঃ) প্রতি বছর আমার শ্রদ্ধেয় দাদাজান কেবলা হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ রাহাতুল্লাহ নকশবন্দী (রহঃ)এর পবিত্র ওরস মোবারক ও মাদ্রাসার বার্ষিক সালানা জনসায় প্রধান ওয়ায়েজ হিসাবট তশরীফ আনতেন। আমার পরম শ্রদ্ধেয় আব্বাজান কেবলা হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ বিসমিল্লাহ শাহ্ (রহঃ) এর সাথে তাঁর সুদৃঢ় আত্মিক সম্পর্ক ছিল। আমার তখন ছাত্রাবস্তা এবং আউলিয়ায়ে কেরাম সম্পর্কিত আমার ধারণা ছিল সীমাবদ্ধ । একদচ হযরতুল আল্লামা গাজী শেরে বাংলা (রহঃ) পবিত্র ওরস মোবারক ও মাদ্রাসার বার্ষিক সালানা জলসা উপলক্ষে আজিমুশশান মাহফিলে রাহাতিয়া দরবার শরীফে তশরীফ এনেছেন। সে সময় এক আশ্চর্যজনক ঘটনার অবতারণা ঘটে। আমি স্বচক্ষে এ ঘটনা অবলোকন করছি। মোজাদ্দেদে দ্বীন

স্বৈরচারী সরকারের দশটি লক্ষণ।

Image
স্বৈরাচারী সরকারের ১০টি লক্ষণ =================== ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে স্বৈরাচারী সরকারের ১০টি লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো- . ১। গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো ~~~~~~~ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে গণমাধ্যম বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকে৷ সরকারের সমালোচনা ও ভুল ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক৷ ফলে সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতে স্বৈরাচারী শাসকরা পত্রিকা, টেলিভিশনকে ভয় দেখিয়ে কোণঠাসা করতে চান৷ . ২। সরকারপন্থি গণমাধ্যম সৃষ্টি ~~~~~~~~~ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে৷ ফলে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সবক্ষেত্রে সম্ভব হয় না৷ পালটা ব্যবস্থা হিসেবে স্বৈরশাসকরা সরকারপন্থি গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন৷ এর ফলে ব্যাপক হারে সরকারের নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো সহজ হয়৷ . ৩। রাষ্ট্রীয় সংস্থার দলীয়করণ ~~~~~~~~ রাষ্ট্রের সকল স্তরে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে স্বৈরাচারী শাসকরা পুলিশ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সরকারি আমলাদের মধ্যেও দলীয়করণ প্রতিষ্ঠা করে থাকেন৷ এর ফলে রাষ্ট্রের ভেতর থেকে ক্ষোভ দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়৷ . ৪। বিরোধীদের ওপর রা