Posts

Showing posts from July, 2020

দিরিলিস, দামেস্ক মদিনা রেলপথ তৈরীর কাহিনী।

দামেস্ক - মদিনা রেলপথ : ১৯০৮ সালের ২৮ অগাস্ট । এদিন প্রথমবারের মত মদীনায় ট্রেন এসে থামে সুদূর দামেস্ক থেকে। এর ফলে শাম ও আনাতোলিয়ার মুসলমানরা নিরাপদে হজ্ব করার সুযোগ লাভ করে,যা আগে ছিল না। ১৯০০ সালের ১ মার্চ সুলতান ২য় আব্দুল হামিদ এই দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণের আদেশ দেন। তখন দামেস্ক থেকে মদিনায় যেতে প্রায় ৪০ দিনের মত সময় লাগতো। সেই সাথে যাত্রাপথে হাজিদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হত। লুটেরা, খারাপ আবহাওয়াসহ নানা রকম বিপদ তাদের জন্য অপেক্ষা করতো। ১৯০৮ সালে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের কাজ শেষ হয়। ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৯ বছর এই রেলপথের মাধ্যমে হাজারো হাজি ও অসংখ্য সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। ১ম বিশ্বযুদ্ধ ও এর পরবর্তী সময় আরবদের বিদ্রোহের ফলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়,অনেক জায়গায় লাইন উপড়ে ফেলা হয়। এই রেলপথ তৈরি করতে সুলতান কোন বিদেশি সাহায্য নেননি। বরং তার ইচ্ছে ছিল যে মুসলমানদের অর্থ ও শ্রমের মাধ্যমেই এই রেলপথ তৈরি হবে। সেসময় সুলতানের এমন উদ্যোগে ইউরোপ জুড়ে বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ে। কারণ উসমানীয় খিলাফতের অবস্থা ছিল খুবই দূর্বল। আর অর্থনৈতিক অবস্থাও ছিল খুবই নাজুক। আর

কর্জে হাসনা।

ইসলামের ইতিহাসে কর্জে হাসানা : ইসলামের প্রাথমিক যুগে সুদমুক্ত অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্যে কর্জে হাসানা ছিল অন্যতম কার্যকর হাতিয়ার। এ সময়ে বায়তুল মালের আয়ের উৎসসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো কর্জ বা ঋণ। প্রকৃতপক্ষে রাসূলে কারীম (সা.)-এর মাদানী জীবন হতে শুরু করে আব্বাসীয় খিলাফতের পরেও সুদীর্ঘ তিনশত বছরেরও বেশি কর্জে হাসানা ইসলামী সমাজে যথাযথ চালু ছিল বলেই সুদ ইসলামী অর্থনীতির ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে পারেনি। মক্কা বিজয়ের পর জরুরী রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে রাসূল (সা.) কর্জ গ্রহণ করেন। হাওয়াজিন যুদ্ধের পূর্বে রাসূল (সা.) আব্দুল্লাহ বিন রবিয়া থেকে ৩০ হাজার দিরহাম কর্জ গ্রহণ করেন। ইমাম বুখারীর মতে, ২০ হাজার দিরহাম কর্জ গ্রহণ করা হয়েছিল। হুনায়নের যুদ্ধের সময় রাসূল (সা.) সাফওয়ান নামক এক অবিশ্বাসীর নিকট থেকে ৫০টি বর্ম ধার করেছিলেন। কর্জ মুসলিম ও অমুসলিম উভয় উৎস হতে করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়। হযরত উমর ফারুক (রা.)’র সময়েই বায়তুল মাল হতে কর্জে হাসানা দেবার রীতি ব্যাপকভাবে চালু হয়। ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়াও ব্যবসায়িক বিনিয়োগ ও কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্যেও বায়তুল মাল হতে কর্জে হাসানা নেবার ব্যবস্থা ছিল। এক্ষেত্