ওহাবি আক্বিদা বনাম সুন্নি আক্বিদা।
★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।
★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★
★ পোস্ট নং--৪৮
★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
♦ওহাবি আক্বিদা বনাম সুন্নি আক্বিদা♦
♣ এখানে শুধু তাবলিগীদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভ্রান্ত আক্বীদা তাদের কিতাবের উদ্ধৃতি সহকারে পেশ করা হলো।
★তাবলিগী আক্বীদা-০১
মুসলমান দু'প্রকার হতে পারে। তৃতীয় কোন প্রকার নেই।
(১) যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয় এবং
(২) যারা আল্লাহর রাস্তায় গমনকারীদের সাহায্য করে। (মালফুযাত, পৃষ্ঠা ৪৩)।
• আকায়েদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত
সপ্ত বিষয়ে আন্তরীক বিশ্বাস স্থাপনকারী নিঃসন্দেহে মুমিন মুসলমান। তাবলিগীদের এ বিভক্তিকরণ কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী। এতে বুঝা যায় যে, যারা প্রত্যক্ষভাবে তাবলিগে অংশ গ্রহণ করে আর যারা অংশ গ্রহণকারীদের সাহায্য করে তারাই মুসলমান। যারা নিজে তাবলিগ করেনা এবং তাবলিগকে সাহায্যও করেনা তারা দু'প্রকারের কোন প্রকারে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় মুসলমান নয়। কারণ তাবলিগীদের মতে মুসলমানের তৃতীয় কোন প্রকার নাই। নিজেরা ব্যতীত অন্যদের মুসলমান মনে না করা খারেজী ওহাবীদের অন্যতম ভ্রান্ত আক্বীদা।
★তাবলিগী আক্বীদা-০২
তাবলিগের সফর কোন কোন দিক থেকে জেহাদের সফরের চেয়েও অনেক উত্তম । (মালফুযাত পৃষ্ঠা- ৭৬)।
• আক্বায়েদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত
সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে সফরকে কোন কোন দিক থেকে জেহাদের সফর থেকে উত্তম বলা ইসলামের ঘৃণ্য বিকৃতি । এধরণের ব্যাখ্যা হারাম।
★তাবলিগী আক্বীদা-০৩
মাদ্রাসায় শিক্ষাদান ও খানাকায় তাসাউফের শিক্ষাদান এর তুলনায় তাবলিগের কাজ অনেক উত্তম। (মালফুযাত, পৃষ্ঠা৭৬)
• আক্বায়েদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত
মাদ্রাসা হলো মুসলমান আলেম তৈরীর কারখানা আর প্রকৃত পীর মাশায়েখের খানাকাহ ইলমে মারফত অর্জনের কেন্দ্র। ইলিয়াসের উক্ত মন্তব্য ইসলামের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ।
★তাবলিগী আক্বীদা-০৪
একদা মৌং ইলিয়াস বললেন, দ্বীনের দাওয়াতের গুরুত্ব আমার নিকট বর্তমানে এতো জরুরী যে, কোন ব্যক্তি যদি নামাযরত অবস্থায় দেখে যে, একজন নতুন মানুষ আসছে এবং ফিরে যাচ্ছে। পুনরায় তাকে পাবার সম্ভাবনা নেই। তখন আমার মতে মধ্যখানে নামায ভেঙ্গে ঐ ব্যক্তির সাথে দ্বীনি কথা বার্তা সেরে নেয়া উচিত। ঐ ব্যক্তির সাথে কথা সেরে অথবা তাকে অপেক্ষা করতে বলে নিজের নামায পুনঃ পড়া উচিত। (মালফুযাত, পৃষ্ঠা ১৭১)।
• আক্বায়েদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত
কারো সাথে দ্বীনের কথা বলার উদ্দেশ্যে নামায ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি শরীয়তে নেই। অথচ তাবলিগীরা নাযাযরত অবস্থায় শুধু এ খেয়ালে থাকে যে, কোন নতুন মানুষ এসে ফিরে যাচ্ছে কি না। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, এমনি ভাবে এবাদত করো যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ। অতঃপর তুমি যদি তাকে দেখতে না পাও, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে দেখছেন । (মেশকাত শরীফ)। অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, এটা মৌং ইলিয়াসের মনগড়া ভ্রান্ত মতবাদ। এতে তিনি নামাযের চেয়ে তাবলিগের শুরুত্ব অধিক, এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।
**তাবলিগ জামাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন
★তাবলিগ জামাত, কৃত- আল্লামা আরশাদ আল ক্বাদেরী
★ইলিয়াসী জামাত; কতঃ আল্লামা মুফতি রেফাকাত হোসাইন,
★তাবলীগ দৰ্পন কৃত: হাফেজ মাওলানা মুঈনুল ইসলাম,
★তাবলীগ জামাত কা ফারেব ইত্যাদি।
____________________________________
©সংকলন- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা।
লেখকঃ- মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফী)।
★পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করার অনুরোধ রইল।
আমাদের সাথে থাকুন।
------------------------------------------
Comments
Post a Comment