Posts

Showing posts from October, 2018

আখেরী চাহার সুম্বাহ।

Image
#প্রশ্নোত্তর-দিচ্ছেন - মুফতি আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল কাদেরী, অধ্যক্ষ- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম। ✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌✌ ❤ প্রশ্ন:         আখেরী চার শম্বাহ্ কী ও কেন? এ বিষয়ে এক এক স্থানে এক এক রকম বলতে শুনা যায়। কেউ পক্ষে আর কেউ বিপক্ষে। সুতরাং বিস্তারিত আলোচনার নিবেদন রইল। ❤ উত্তর:           সফর মাস আরবী হিজরি মাসের ২য় মাস। আর মাহে সফরের শেষ বুধবারকে ইসলামী পরিভাষায় মুসলিম সমাজে আখেরী চার শম্বাহ্ হিসেবে বুঝায়। যেহেতু এক সময়ে ফার্সী ভাষা প্রচলিত ছিল আর ফার্সী ভাষায় বুধবারকে চার শম্বাহ্ বলা হয়। মুসলিম সমাজে সফর মাসের শেষ বুধবারকে গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়। এর পেছনে যে প্রেক্ষাপট রয়েছে তা হলো ‘দুনিয়াবী সকল বাতিল অপশক্তি প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে ইহুদীগণ হুযূর করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে যাদু করেছিল। কিন্তু তাদের যাদু শক্তি প্রিয়নবীর মধ্যে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। অবশেষে ৭ম হিজরীতে হুদায়বিয়ার সন্ধির পর মহররম মাসে মদিনায় ইহুদী নেতৃবৃন্দ লবীদ ইবনে আসম ইয়াহুদীকে বলল, তুমি ও তোমার কন্যাগণ তো যাদু বিদ্যায় পারদর্শী। সু

আ'লা হযরত রহঃ এর জিবনী।

Image
আওলাদে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) প্রতি আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা ফাজেলে বেরলবী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি রাহমাহ) এর সম্মান প্রদর্শন এবং আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন কিভাবে আওলাদে রাসূলেরকে সম্মান করতে হয়। ................................................ ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন মিল্লাত, আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা রাহমাতুল্লাহি আলা(ইহি রাহমাহ) কে দাওয়াত দেওয়া হল। দাওয়াত দাতা মুরীদগণ তাকে আনার জন্য পালকির ব্যবস্থা করলেন। তিনি পালকিতে আরোহন করলেন আর চারজন বেয়ারা পালকি কাঁধে নিয়ে যাত্রা শুরু করল। কিছু দূর যেতে না যেতেই আলা হযরত (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি রাহমাহ) হঠাৎ পালকির ভিতর থেকে আওয়াজ দিলেন, পালকি থামাও। পালকি নামান হল। তিনি দ্রুত পালকি থেকে বাহিরে নেমে এলেন। আবেগময় স্বরে বেয়ারাদের উদ্দেশ্যে করে বললেন, সত্য করে বলুন, আপনাদের মধ্যে আওলাদে রাসূল কে? কারন আমি আমার ঈমানের অনুভূতি শক্তিতে সরকারে মদীনা হুজুর পাক (সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুগন্ধ পাচ্ছি। এক পালকি বাহক সামনে অগ্রসর হয়ে আরয করলেন। হুজুর! আ

মসলকে আ'লা হযরত কি ও কেন?

Image
মসলক এ আ’লা হযরত  কি ও কেন?    ********************************* সৈয়দ মাওলানা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আযহারী খতিব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ, নন্দনকানন, চট্টগ্রাম। সহকারী অধ্যাপক, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। =============================================== প্রথমেই একথা ভালভাবে বুঝে নেয়া দরকার ‘মসলকে আলা হযরত’ মানে নতুন কোন মসলক বা মাযহাবের নাম নয় বরং সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তবে তাবেয়ীন, ছালেহীন এবং মুসলিম জাতির মহান আলেম ও বিজ্ঞজনরা যে মসলক বা পথের উপর ছিলেন সেটাই মূলত ‘মসলকে আ’লা হযরত’। এ নামকরণের মূল কারণ হলো- আজ থেকে প্রায় দুই শতাব্দী পূর্বে উপমহাদেশের জমিনে জন্ম লাভ করেছে নতুন নতুন অনেক ফেরকাহ্, আর এ ফেরকাসমূহের প্রবর্তক বা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা-বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠানকে শিরক ও বিদআত হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। বিশেষ করে ইসমাইল দেহলভী নজদী -ওয়াহাবী কর্তৃক প্রবর্তিত ভ্রান্ত আক্বিদা ভারত উপমহাদেশে আমদানী পূর্বক তা বাজারজাত করার লক্ষ্যে ‘তাক্বভীয়াতুল ঈমান’ নামক যে পুস্তকটি রচনা করে এতে রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর ইলমে গায়ব’ হা

আ'লা হযরত রহঃ এর জিবনী।

Image
কারামতে আ'লা হযরত ...................................................... দেড় হাজার কিতাবের রচয়িতা চতুর্দশ শতাব্দীর মোজাদ্দিদ, শরীয়তে মোহাম্মদীর সাহায্যকারী, আ'লা হযরত, আযীমূল বরকত, ইমামে আহলে সুন্নাত, ফখরে জমীন ও জমান, আল্লামা মাওলানা হাফেয ক্বারী মুফতি আলহাজ্ব শাহ মোখতার আব্দুল মোস্তফা মোহাম্মদ আহমদ রেযা খাঁন ছাহেব (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি) এর বড় কারামত ছিল এই যে, শুধুমাত্র ৬৮ বত্সর হায়াতের মধ্যে ৫৪ বত্সরে তিনি দেড় সহস্রাধিক কিতাব রচনা করেছেন। মাশায়েখে কেরাম বর্ণনা করেছেন- আ'লা হযরত রচিত ফতোয়ার অন্যতম কিতাব ''ফতোয়ায়ে রেজভীয়্যাহ'' বার খন্ডে বিভক্ত। এটা সহজেই অনুমেয়, ঐ কিতাব এমন বৃহত্ যে, অন্য কেউ ৫৪ বত্সরে কেন-শত বত্সরেও রচনা করতে পারবে কিনা সন্দেহ। সেই কিতাবের পুরো নাম-'আল আতায়ান নবভীয়্যাহ ফী- ফতোয়ায়ে রেজভীয়্যাহ'। এটি এত বিশাল যে এর বর্তমান বাজারমূল্য ত্রিশ হাজার টাকার উপরে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আ'লা হযরত ৬৮ বত্সর হায়াত পেয়েছিলেন।এর মধ্যে শৈশব-কৈশোর মিলিয়ে চৌদ্দ বত্সর বাদ দিয়ে বাকী ৫৫ বত্সরে ৫

আ'লা হযরত রহঃ এর স্মরণশক্তি।

Image
আলা হযরত (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি রাহমাহ) এর স্মরণ শক্তি ............................................. ............................................. আ’লা হযরত (রাহমাতুল্লাহ আলাইহি রাহমার) এর স্মরণ শক্তির অবস্থা এমন ছিল যে, একদিকে ওস্তাদ ছবক দেন অপরদিকে তিনি এক দুবার পড়েই কিতাব বন্ধ করে দিতেন। যখন ওস্তাদ ছবক শুনতেন তখন পুংঙ্খানুপুংঙ্খ ভাবে তা শুনিয়ে দিতেন। ওস্তাদ এ অবস্থা দেখে আশ্চর্য্য হয়ে বলতেন যে, হে “আহমাদ মিয়া” তুমি মানব না জ্বীন যে, আমি পড়াতে দেরী কিন্তু তোমার শুনাতে বিলম্ব হয় না। বস্তুতঃ এ উক্তিটি ওস্তাদের দোয়া স্বরূপই ছিল। ... একদিন আ’লা হযরত বললেন, অনেকেই না জেনে আবেগ প্রবণ হয়ে আমার নামের সাথে “হাফিজ” শব্দটি যুক্ত করে দেয়, অথচ আমি হাফিজ নই। তবে এটা সম্ভব যে, কোন হাফিজ সাহেব যদি আমাকে কুরআন কারীমের এক রুকু’ করে পড়ে শুনান তাহলে অনুরূপ আমার থেকে মুখস্ত শুনানো সম্ভব হবে। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাহে রমজানে একজন হাফিজ সাহেবের সান্নিধ্যে মাত্র ২৩ দিনে ৩০ পাড়া কোরআন শরীফ মুখস্ত করে শুনিয়েছেন। আর হিফজ করার সময়টুকু হিসাব করলে মাত্র ১৫ ঘ

আ'লা হযরত রহঃ এর জিবনী।

Image
আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহঃ) পরিচিতি       জন্ম : ১০ই শাবান ১২৭২ হিজরী / ১৮৫৬ ইং ইনতিকাল :২৫ শে সফর ১৩৪০ হিজরী / ১৯২১ ইং। হিজরী চতুর্দশ শতাব্দীর মোজাদ্দেদ, ইমামে আহলে সুন্নাত, আ’লা হযরত, ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহঃ) এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হয়েছিলেন- যখন সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের দালাল বাতিল ফের্কাগুলো আরবে ও আজমে- সর্বত্র ইসলামের প্রতিষ্ঠিত আকিদাসমূহের উপর কঠোর আঘাত হানা শুরু করেছিল। আরবের অভিশপ্ত নজদ প্রদেশের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ভারতীয় অনুসারীরা ওহাবী আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের ঈমান আকিদা বিনষ্ট করছিল, পাক-ভারত উপমহাদেশের ওহাবী আন্দোলনের ঢেউ এসে একের পর এক আঘাত হানতেছিল, ইংরেজদের সহায়তায় তারা বিরাট ধরণের দেওবন্দ ওহাবী মাদ্রাসা তৈরী করে ওহাবী মতবাদ প্রচারে লিপ্ত হয়েছিল, তাকভিয়াতুল ঈমান, তাহযিরুন্নাছ, ফতোয়ায়ে রশিদিয়া, বারাহীনে কাতেয়া, হেফযুল ঈমান ও বেহেস্তী জেরর প্রভৃতি ঈমান বিধ্বংসী ওহাবী মতবদী কিতাবসমূহ লিখে বিদেশী অর্থানুকূল্যে ছেঁপে ঘরে-ঘরে পৌছিয়ে দেয়া হচিছল। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের মান মর্যাদার উপর এসব কিতাব দ্বারা জঘন্য আক্রমন প