আ'লা হযরত রহঃ এর জিবনী।

আওলাদে রাসুল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের)
প্রতি
আ'লা হযরত ইমাম
আহমদ
রেজা ফাজেলে
বেরলবী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি রাহমাহ)
এর সম্মান প্রদর্শন
এবং আমাদের
কে শিক্ষা দিয়েছেন
কিভাবে আওলাদে রাসূলেরকে সম্মান
করতে হয়।
................................................
ইমামে আহলে সুন্নাত,
মুজাদ্দিদে দ্বীন
মিল্লাত, আ'লা হযরত
ইমাম আহমদ
রেজা রাহমাতুল্লাহি
আলা(ইহি রাহমাহ)
কে দাওয়াত
দেওয়া হল।
দাওয়াত
দাতা মুরীদগণ
তাকে আনার জন্য
পালকির
ব্যবস্থা করলেন।
তিনি পালকিতে আরোহন
করলেন আর চারজন
বেয়ারা পালকি কাঁধে নিয়ে যাত্রা শুরু
করল।
কিছু দূর যেতে না
যেতেই
আলা হযরত
(রাহমাতুল্লাহ
আলাইহি রাহমাহ)
হঠাৎ
পালকির ভিতর
থেকে আওয়াজ
দিলেন,
পালকি থামাও।
পালকি নামান হল।
তিনি দ্রুত
পালকি থেকে বাহিরে নেমে এলেন।
আবেগময়
স্বরে বেয়ারাদের
উদ্দেশ্যে করে বললেন,
সত্য করে বলুন,
আপনাদের
মধ্যে আওলাদে রাসূল
কে? কারন
আমি আমার
ঈমানের
অনুভূতি শক্তিতে সরকারে মদীনা হুজুর
পাক (সাল্লাল্লহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর সুগন্ধ
পাচ্ছি।
এক পালকি বাহক
সামনে অগ্রসর
হয়ে আরয করলেন।
হুজুর!
আমি আওলাদে রাসূল।
তখন তার কথা শেষ
হয়নি; আলা হযরত
(রাহমাতুল্লাহি আলাইহি রাহমাহ)
নিজের
পাগড়ী আওলাদে রাসূলের
কদম মোবারকে উপর
রেখে দিলেন। ইমাম
আহমদ
রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি
এর
চোখ মুবারক
হতে অশ্রু
ঝরছিলো আর হাত
জোর
করে আরয করছিলো "
সম্মানিত
আওলাদে রাসূল
আমার
অপরাধ মাফ
করে দিন।
অজানা বশত, আমার
ভুল
হয়ে গেছে, হায়
আফসোস। একি ঘটল?
যার
পবিত্র
জুতা মোবারক
আমার সম্মানের
মুকুট
হওয়া উচিত; তারই
কাধে আমি আরোহী হেয়ে গেলাম।
যদি কেয়ামত দিন
তাজেদারে মদীনা সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাকে জিজ্ঞাসা করেন,
হে আহমদ রেযা!
আমার
বংশের সন্তানের
নরম
কাধ কি এজন্য ছিল,
যে তা তোমার
আরোহনের বহণ
করবে?
তখন আমি কি উত্তর
দিব।তখন হাশরের
ময়দানে আমার
ইশকের
কতই
না অবমাননা হবে?
কয়েকবার
আওলাদে রাসূলের
মূখে ক্ষমার
স্বীকারোক্তি নেয়ার
পর ইমাম আহমদ
রেযা শেষে এই
অনুরোধ
জানালেন। "
হে সম্মানিত
আওলাদে রাসূল "।
আমার
অজানা বশত
হয়ে যাওয়া ভুলের
কাফফারা তখনই
পরিশোধ হবে যখন
আপনি পালকিতে উঠে বসবেন
আর আমি আমার
কাঁধে পালকিতে বহন
করব। এ অনুরোধ
শুনে উপস্থিত
লোকজনের
চোখের
পানি ঝরতে লাগল।
হাজারো অস্বীকৃতির
পরও শেষ পর্যন্ত
আওলাদে রাসূল
কে পালকিতে আরোহন
করতে হল।
(সুবহানাল্লাহ)
....
(আনওয়ারে রেযা,
পৃষ্টা-৪১৫)