মিলাদুন্নাবী সম্পর্কে মিথ্যাচারের জবাব।

হেফাজতী ওহাবী মৌলভী জুনায়েদ বাবুনগরীর মিথ্যাচারের জবাব-
...... Mυhαmmα∂ Tαhmee∂ Rαყhααn

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের দিন কেবল মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সৃষ্টিজগতের সকলের জন্য আনন্দের ও রহমতের দিন। সেহেতু সারা বিশ্বের মুসলমানগণ অত্যন্ত ভক্তি ও মর্যাদার সাথে রবিউল আউয়াল শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করে থাকে। কিন্তু একদল দুষ্টু প্রকৃতি আলেম নামধারী  শয়তান এটিকে অবৈধ ও বিদআত বলে অপপ্রচার করে বেঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন হলেন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম তথা হাটহাজারী বড় মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও সহকারী পরিচালক এবং হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মৌলভী জুনায়েদ বাবুনগরী।

এই কমবখত মৌলভী Kowmi Vision নামক একটি ওয়েবসাইটে উপসম্পাদকীয় তে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে মানহানীকর কুরুচিপূর্ণ মিথ্যায় ভরপুর দলিলবিহীন একটি কলাম লিখেছেন। এই কলামটি দেখার পর মনে হয়েছে এই তথাকথিত শায়খুল হাদীস কিতাব পড়ে নয়, বরং গাধার ন্যায় কিতাব বহন করে নকল করে পাশ করে শায়খুল হাদীস (পড়ুন শায়খুশ শয়তান) হয়েছে। যদি তিনি কিতাব পড়ে জ্ঞানার্জন করতেন তাহলে তার পবিত্র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে দলিলবিহীন বেফাঁস কলাম লিখতে পারতেন না। তার কলাম লিখার ধরন দেখে তার জ্ঞানের দৈন্যদশা পরিলক্ষিত হয়। শায়খুল হাদীস দাবিদার ব্যক্তি বিরোধীতার জন্য সত্যকে মিথ্যায় আচ্ছাদিত করে এমন চরম মূর্খের মত কথা লিখেছেন যা সত্যিই অবাক করার মত ব্যাপার। যাক সে কথা, এখন দেখি এই হেফাজতী কওমী ওহাবী মৌলভী তার কলামে কি লিখেছেন?

তিনি তার কলামের এক পর্যায়ে লিখেছেন ....... কেননা ইসলামের প্রথম ছয় শতাব্দীতে এই ধরনের কর্মকান্ডের (মিলাদুন্নবী উদযাপন) কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এর উদ্ভাবনকাল থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ওলামায়ে কেরাম এ আনুষ্ঠানিকতার কঠোর সমালোচনা করে আসছেন.....    ইসলামের চার ইমামের পরবর্তী লোক যারা মিলাদুন্নবীর আবিস্কারক তাদের তো কিয়াস ও ইস্তিহসানের সামান্যতম যোগ্যতাও নেই।
তার এই বক্তব্য থেকে তিনটি আপত্তি পরিলক্ষিত হয়। যথাঃ
১.  খায়রুল কুরূনে পবিত্র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না (তার মতে), তাই এটি পরিত্যাজ্য।
২. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ওলামায়ে কিরাম এর সমালোচনা করেছেন।
৩. যারা মিলাদুন্নবীর সমর্থক আলিম তাদের কিয়াস এবং ইস্তিহসানের সামান্যতম যোগ্যতা নাই।
____________________________________________
আপত্তি ১ খন্ডনঃ—

বাবু নগরী সাহেব যেন তার মূর্খতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন এই কলামের মাধ্যমে। ছাহাবা, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীন কিংবা তার পরবর্তী ইসলামের ছয় শতাব্দীতে কোন কিছু না থাকা মানে তা হারাম, অবৈধ কিংবা প্রত্যাখ্যাত এমন দলিল এই তথাকথিত হেফাজতী মৌলভী কোথায় পেয়েছেন? এই কথা কুরআন কিংবা হাদীসের কোথায় বলা হয়েছে? দলিলবিহীন এমন বেফাঁস কথা কেবল মূর্খরাই বলতে পারে। বরং তার এই মূর্খতা সুলভ কথাটি নিন্মোক্ত হাদীস শরীফের বিপরিত।

عن جربر رضى اللّه تعالى عنه قال قال رسول اللّه صلى اللّه عليه وسلم: من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجر هل واجر من عمل بها من بعده من غير ان ينقص من اجور هم شيىٔ ومن سن فى الاسلام سنة سيىٔة كان عليه وزرها ووزر من عمل بها من بعده من غير ان ينقص من اوز ار هم شيىٔ (رواه مسلم)-
হযরত জাবির (রাদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত তিঁনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—   “যে ব্যক্তি ইসলামে উত্তম পদ্ধতি প্রবর্তন করবে সে তার  প্রতিদান পাবে এবং তদানুযায়ী আমল করবে তাদের সওয়াবও সে লাভ করবে তবে তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছুই হ্রাস করা হবে না। আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ রীতি প্রচলন করেলো, তার জন্য সে পাপের ভাগী হবে এবং যারা সে অনুযায়ী আমল করলো সে তাদের পাপের বোঝা বহন করবে এমতাবস্তায় তাদের পাপসমূহ হতে কোন কিছুই হ্রাস করা হবে না।
(সহীহ মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ- ৩৩ পৃ.)

এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল কেউ যদি কোন উত্তম পদ্ধতি প্রবর্তন করে তার জন্য সে সওয়াবের ভাগীদার হবে। সাথে তার এই পদ্ধতি যারা অনুসরন করবে তাদের সওয়াবও তাকে দেয়া হবে। তবে অনুসরনকারীদের সওয়াব থেকে তাদের সওয়াব কমানো হবে না। আবার কোন ব্যক্তি যদি খারাপ পদ্ধতি আবিস্কার করে তার জন্য তাকে নিকৃষ্ট গুনাহ দেয়া হবে। তার এই পদ্ধতি যারা অবলম্বন করবে তাদের গুনাহও তার তাকে দেয়া হবে। তবে অনুসরনকারীদের নিজ গুনাহ কমানো হবে না তারাও সমান গুনাহের ভাগীদার হবে।

উপর্যুক্ত হাদীস শরীফ থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, উত্তম পদ্ধতির প্রবর্তন বা আবিস্কার কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে৷ এটা নির্দিষ্ট কোন যুগের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাই কোন আমল তিন যুগ কিংবা ছয় শতাব্দীতে হয়নি বলে তা আমল করা যাবে না- এমন কথা বলা চরম মূর্খতা বৈ আর কিছু নয়।

বাবুনগরী সাহেবের হয়তো এটা জানা নাই, কোন একটি কাজ বা আমল প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় না। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, ইসলামের প্রাথমিক যুগে কাফিরদের ভয়ে আযান এবং সালাত চুপে চুপে সম্পাদন করা হতো। পরবর্তীতে যখন চারদিকে ইসলামের প্রচার প্রসারের কারনে মুসলমানগন শক্তিশালী হলো তখন প্রকাশ্যে আযান এবং সালাত পড়া আরম্ভ হল। আরেকটি উদারহন দেয়া যায়। যখন সাইয়্যিদুনা আদম সফিউল্লাহ্ আলাইহিস সালাম কাবা শরীফ নির্মাণ করে তাওয়াফ করলেন তখন এর অবকাঠামো তেমন জাঁকজমক জৌলুসপূর্ণ ছিল না। কালের পরিবর্তনে হাজার হাজার বছর ধরে তার সন্তানেরা কাবা শরীফের মূল কাঠামো ঠিক রেখে এর আশেপাশে সংস্কারকরণের মাধ্যমে আজ এটি মনোমুগ্ধকর সুন্দর অবকাঠামোতে পরিনত করেছে।

সৌদী শাসকরা কাবা শরীফের পার্শবর্তী স্থানের নকশা পরিবর্তন,পরিবর্ধনের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন। এখন এই পরিবর্তনের ফলে বাবুনগরী কি বলবে- এটি বিদআত (নব আবিস্কার),কারন খায়রূন কুরূনে কাবা শরীফ এমন ছিল না তাই কাবা শরীফ তাওয়াফ করা অবৈধ? (নাউযুবিল্লাহ)

তদ্রুপ ইসলামের প্রাথমিক যুগ এবং তার পরবর্তী কয়েক যুগে জাঁকজমক ভাবে পবিত্র মিলাদুন্নবী পালন করা হয়নি। তবে যুগের পরিবর্তনে মানুষ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মূল ঠিক রেখে আস্তে আস্তে জাঁকজমকতার সাথে পবিত্র মিলাদুন্নবী পালন করা শুরু করে। এমনকি রাস্ট্রীয় পর্যায়ে পবিত্র মিলাদুন্নবী পালন করার ব্যবস্থা করা হয়। আর এই কাজের গোড়াপত্তন করেন ইরবিলের প্রসিদ্ধ ন্যায় বিচারক শাসক বাদশাহ মুজাফফর আবু সাঈদ কুকারবী।
মিলাদুন্নবীতে কি কি করা হয়ঃ
১. পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা হয়
২. হামদে বারি তা'য়ালা পাঠ করা হয়
৩. না'তে রাসূল পাঠ করা হয়
৪. হুযুর পাকের উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করা হয়
৫. হুযুর পাকের জীবনী আলোচনা হয়
৬.  দান-সদকাহ করা হয়।
সুতরাং, কোন সুস্থ মস্তিস্কসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ এটা কোন ভাবেই বলতে পারেনা যে, এগুলো হারাম কাজ কিংবা বিদ'আত। মূলতঃ এই কাজগুলোর সমষ্টিই হল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম বা হুযুর পাকের শুভাগমনের শুকরিয়ায় উদযাপিত ঈদ।
____________________________________________
আপত্তি ২ ও ৩ খন্ডনঃ—

তথাকথিত শায়খুল হাদীস দাবী করেছেন- ওলামায়ে আহলে সুন্নাত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমালোচনা করেছেন। বস্তুতঃ এটি তার ডাহা মিথ্যা আর মূর্খতাসুলভ কথা বৈ কিছুই নয়। একজন শায়খুল হাদীস দাবীদার কিভাবে এমন মূর্খদের মত দলিলবিহীন বেফাঁস কথা বলতে পারেন? ওলামায়ে আহলে সুন্নাত এর সমালোচনা করেছেন- তার এই কথা দিয়েই বুঝা যায়, তিনি একজন মিথ্যাবাদী। অথচ ওলামায়ে আহলে সুন্নাত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমালোচনা করা তো দূরের কথা বরং এর বৈধতার উপর মত দিয়েছেন এবং কিতাব লিখে এর বৈধতা প্রমাণ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলিম হলেনঃ
১.  ইমাম ইবনুল জাওযী (ওফাতঃ ৫৯৭ হি.)
২. ইমাম ইবনুল হাজ্ব আল মালেকী (৭৩৭ হি.)
৩. ইমাম শামসুদ্দীন ইবনুল জুযারী (৮৩৩ হি.)
৪. ইমাম সাখাভী (৯০২ হি.)
৫. ইমাম ইবনে হাজার আশকালানী (৮২৫ হি.)
৬. ইমাম জালালউদ্দীন সুয়ূতী (৯১১ হি.)
৭. ইমাম আবদুর রহীম আল ইরাকী (৮০৬ হি.)
৮. ইমাম নববী (৬৬৫ হি.)
৯. ইমাম সিহাবুদ্দীন আবুল আব্বাস কাসতালানী (৯২৩)
১০) আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (১২২৫ হি.)
১১) ইমাম শামসুদ্দীন নাসির আদ-দামেশকি (৮৪২ হি.) ইমাম মুহাম্মদ বিন যুফার আল মক্কী (৫৬৫ হি.)
১২) ইমাম আবুল খাত্তাব ইবনে দাহিয়্যাহ আল মালেকী (৬৮১ হি.)
১৩) ইমাম আবু শামা আশ শাফেয়ী
১৪) কাজী শামসুদ্দীন আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে খাল্লিকান (৬৮১ হি.)
১৫) আল্লামা ছাবাত বিন জাওযী
১৬) ঐতিহাসিক ইবনে বতুতা (৭৭৯ হি.)
১৭) আল্লামা সালাহ উদ্দীন সাফাদী আশ শাফেয়ী (৭৬৪ হি.)
১৮) ইমাম শামসুদ্দীন আয যাহাবী
১৯) ইমাম সিরাজউদ্দীন বালকিনী (৭২৪ হি.)
২০) আল্লামা নাসিরউদ্দীন মোবারক ইবনে বাতাহ
২১) আল্লামা মোল্লা আলী কারী হানাফী
২২) ইমাম মুহাম্মদ বিন ইউসুফ সালেহী আশ শামী
২৩) ইমাম কুতুবুদ্দীন আল হানাফী
২৪) আল্লামা ইসমাঈল হক্কী বরুছভী
২৫) শাহ আবদুল হক মুহাদ্দীসে দেহলভী
২৬) শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহলভী
২৭) শাহ আবদুল আযিয মুহাদ্দীসে দেহলভী
২৮) আল্লামা মুফতী জামাল আল মক্কী
২৯) আল্লামা আবদুর রহমান সিরাজ
৩০) শাহ আবদুল গনী নকশেবন্দী
৩১) শায়খ আবদুল হক এলাহাবাদী
৩২) আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী
৩৩) আল্লামা সাইয়্যিদ আলাভী আল মালেকী
৩৪) আল্লামা ইউসুফ বিন ইসমাঈল নাবহানী
৩৫) হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির-ই মক্কী
৩৬) আল্লামা যাইনী দাহলান আল মক্কী
৩৭)) আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন ব্রেলভী (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন) সহ আরো অনেক ওলামায়ে আহলে সুন্নাত এটির বৈধতার উপর ফতোয়া দিয়েছেন। এমনকি তাদের স্বগোত্রীয় ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়্যাহ, আশরাফ আলী থানভী, খলিল আহমদ শাহারানপুরী (আম্বটবী), আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী, হুসাইন আহমদ মাদানী, কারামত আলী জৌনপুরী, শামসুল হক ফরীদপুরী, মৌলভী আজিজুল হক সহ আরো অনেকে এর বৈধতার মত দিয়েছেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমর্থক এই আলিমগনের তালিকার মাধ্যমে বাবুনগরীর ৩ নম্বর আপত্তিও খন্ডন হয়ে গেল। বাবুনগরী বলেছে- পবিত্র মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমর্থক আলিমদের নাকি কিয়াস করারও সামান্যতম যোগ্যতা নাই (!) অথচ বাবুনগরী সহ তামাম কওমী ওহাবী গংরা এই মহান ইমামগনের লিখিত কিতাব পড়েই আজ আলিম, মুফতি, শায়খুল হাদীস, শায়খুল ইসলাম দাবী করার সাহস করে।

(....... ১ম পর্ব সমাপ্ত, দ্বিতীয় পর্বে উপরিউক্ত ৩৭ জন বিশিষ্ট আলিমের মতামত পেশ, আল্লামা আবুল খাত্তাব ইবনে দাহিয়্যাহ (রহ.) এবং বাদশাহ মুজাফফর আবু সাঈদ কুকারবী- কে নিয়ে বাবুনগরীর মিথ্যাচার খন্ডন করা হবে ইনশা-আল্লাহ)

Comments

Popular posts from this blog

ছবছে আওলা ও আ'লা হামারা নবী।

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।

পিডিএফ বই ২৮ টি একত্রে।