নূরের দেহ মোবারকের ১০টি দলিল।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
#নূরের_দেহ_মোবারক_১০টি_দলিল
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেহ মোবারক নূরের তৈরী ছিল।
১) যারকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড ২২০পৃঃ উল্লেখ আছে-
অনুবাদ দিলাম- সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর"। (যারকানী)
(২) ইমাম কাযী আয়ায (রহঃ) শিফা শরীফের ১ম গন্ডে ২৪২ পৃষ্ঠায় লিখনঃ
অনুবাদ- নূরের দলিল হিসাবে ছায়হীন দেহের যে রেওয়াতটি পেশ করা হয়, তা হচ্ছে - "দিনের সূর্য আলো কিংবা রাত্রের চাঁদের আলো- কোনটিতেই হুযুরের দেহ মোবারকের ছায় পড়তো না। কারণ তিনি ছিলেন আপাদমস্তক নূর"। (শিফা শরীফ)
(৩) ওহাবি নেতা আশরাফ আলী থানবী সাহেব তার (শুকরুন নিমাতি বিযিকরি রাহমাতির রাহমাতি) গ্রন্হের ৩৯পৃঃ স্বীকায় করেছেন-
অনুবাদ- একথা সর্বজন স্বীকৃত ও প্রসিদ্ধ যে, আমাদের হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেহের ছায়া ছিল না। কেননা আমাদের হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা মোবারক হতে পা মোবারক পর্যন্ত শুধু নূর আর নূর ছিলেন"। (শোকরে নে'মত)
(৪) ইমাম ইবনে হাজার হায়তামী (রহঃ) আন-নে'মাতুল কোবরা গ্রন্হের ৪১ পৃঃ হাদিস লিখেন-
অনুবাদ- হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত - তিনি বলেন" আমি রাত্রি বাতির আলোতে বসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাপড় মোবারক সেলাই করছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারনে) নিভে গেল এবং আমি সুঁচটি হারিয়ে ফেললাম । এর পরপরই নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকারে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুঁইটি খুঁজে পেলাম"। সোবহানাল্লাহ। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন নূরের চেহেরা-আর তারা বলে মাটির চেহারা । নাউযুবিল্লাহ্।
(৫) মাওলানা আবদুল আউয়াল সাহেব তাঁর (উমদাতুল নুকুল) গন্হে লিখেছেন-
অনুবাদ- "নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের গর্ভেই যে নূর ছিলেন-এর দলিল হচ্ছে যাকারিয়ার বর্ণিত হাদিস- নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় মাস মাতৃগর্ভে ছিলেন, এ সময়ে বিবি আমেনা (রাঃ) কোন ব্যাথা বেদনা অনুভব করেননি বা বায়ু আক্রান্ত হননি এবং গর্ভবতী অন্যান্য মহিলাদের মত কোন আলামতও তাঁর ছিল না। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেহ যে মাতৃগর্ভে নূর ছিল-ইহাই তার প্রমাণ।
(৬) মিশকাত শরীফে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
অনুবাদ- "আমার জন্মের প্রাক্কালে তন্দ্রাবস্হায় আম্মাজান দেখেছিলেন-একটি নূর তাঁর গর্ভ হতে বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ প্রর্যন্ত আলোকিত করেছে"। "আমি আমার মায়ের দেখা সেই নূর"। (মিশকাত শরীফ)
(৭) ইমামে আহলে সুন্নাত শাহ আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহঃ) হাদায়কে বখশিশ গন্হে ২য় খন্ডে ৭পৃঃ ছন্দে লিখেন-
অনুবাদ- "হে প্রিয় রাসূল! আপনিতো আল্লাহর নূরের প্রতিচ্ছবি বা ছায়া। আপনার প্রতিটি অঙ্গই এক একটি নূরের টুকরা । নূরের যেমন ছায়া হয়না , তদ্রুপ ছায়ারও প্রতিচ্ছায়া হয়না"। কাজেই আপনারও প্রতিচ্ছায়া নেই- কেননা আপনি নূর এবং আল্লাহর নূরের ছায়া।
(৮) মকতুবাতে ইমাম রাব্বানী ৩য় জিলদ মকতুব নং ১০০তে হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) লিখেছেন-
অনুবাদ- "হযরত রাসূল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সৃষ্টি কোন মানুষের সৃষ্টির মত নয়। বরং নশ্বর জগতের কোন বস্তুই হযরতের সাথে সামঞ্জস্যশীল নয়। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে স্বীয় নূর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন"।
(৯) আশরাফ আলী থানবি তার নশরুতত্বীব গন্হের ৫ম পৃষ্ঠায় হাদিস লিখেছেন-
"হে জাবের! আল্লাহ তায়ালা আপন নূরের ফয়েয বা জ্যোতি হতে তোমার নবির নূর সৃষ্টি করেছেন।" (নশরুত ত্বীব ৫ পৃঃ)
(১০) তাফসীরে সাভী ছুরায়ে মায়েদার (ক্বাদ যা'আকুম মিনল্লাহি নূর) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন- "আল্লাহপাক তাঁকে নূর বলে আখ্যায়িত করার কারণ হচ্ছে- তিনি সকল দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান নূর সমূহের মূল উত্স"।
এছাড়াও দেহ মোবারকের প্রতিটি অঙ্গ নূর হওয়ার বহু দলিল কিতাবে উল্লেখ আছে । সুতরাং সৃষ্টির আদিতেও তিনি নূর, মায়ের গর্ভেও নূর এবং দুনিয়াতেও দেহধারী নূর-এতে কোন সন্দেহ নেই। সে নূরকে বশরী সুরতে ও কভারে আবৃত করে রাখা হয়েছে মাত্র। যেমন, তারের কভারে বিদ্যুত্কে আবৃত করে রাখা হয়। এতসব প্রমান সত্বেও যারা নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মাঠির সৃষ্টি বলে- তাদেরকে বেদ্বীন ছাড়া আর কি-ই বলা যাবে?
(সংগ্রহে-নূর নবী- অধ্যক্ষ হাফের এম এ জলিল (রহঃ) পৃঃ- ১১-১৪)।
চলমান।
Comments
Post a Comment