ওহাবি চিনার সহজ উপায়।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।
★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★
★ পোস্ট নং--৪১
★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
_______________________________
♦ওহাবি চিন্হিত করার সহজ উপায়♦
________________________________

♣ ১. ওহাবীরা ঘন ঘন মাথা মুন্ডায়। উল্লেখ্য যে, ওহাবীদেরকে খারেজীদেরই অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপরোল্লেখিত হাদিস শরীফে এটা তাদের উল্লেখযোগ্য চিহ্ন হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। শেখ নজদীও তার দলে যোগদান কারীকে মাথামুন্ডাতে নির্দেশ দিত। আরবের যুবাইদ এলাকার প্রখ্যাত মুফতি আল্লামা সৈয়দ আবদুর রহমান বলতেন, ওহাবীদের খন্ডনে কোন কিতাব লেখার প্রয়োজন নেই। তাদের খন্ডনে হাদিস শরীফে বর্ণিত "তাদের নিদর্শন ঘন ঘন মাথা মুন্ডানো ৷" এ উক্তিটিই যথেষ্ট; কারণ অপর কোন বিজাতীয় দলের এ ধরণের অভ্যাস নেই। শেখ নজদী এক মহিলাকে তার অনুসরণে বাধ্য করলে ঐ মহিলা বাধ্য হতে সম্মত হয়। অতঃপর শেখ নজদী তাকে মাথা মুন্ডাতে নির্দেশ দেয়। তখন ঐ মহিলা বলল, আপনি মহিলাকে পর্যন্ত মাথা মুন্ডাতে নির্দেশ দিচ্ছেন, সুতরাং আপনার উচিত পুরুষদেরকে দাড়ি মুন্ডাতে নির্দেশ দেয়া। কারণ, মহিলাদের বেলায় সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হলো-চুল, আর পুরুষের সৌন্দর্য হলো দাড়ি। তখন শেখ নজদী হতভম্ব হয়ে গেলেন। (ফিতনাতুল ওহাবীয়া, পৃষ্ঠা ৭৭, আদদুরারুসসানীয়া, পৃষ্ঠা ৫০)

২. ওহাবীগণ উচ্চস্বরে, সম্মিলিতভাবে দরুদ সালাম পড়ে না। ওয়ায মাহফিলে শুধুমাত্র বা দু’একবার "দরুদে ইব্রাহিমী" অর্থাৎ নামাযে পঠিত দরুদ শরীফটি পড়ে থাকে। উক্ত দরুদে সালাম না থাকার কারণে নামাযের বাইরে ঐ দরূদ শরীফটি পড়া মাকরুহ। (নববী, শরহে মুসলিম এর ভূমিকা।)  সুন্নী মুসলমানদের তুলনায় ওহাবীরা দরুদ শরীফ পড়ে না বললেও অতুক্তি হবে না। অপরদিকে তারা মাহফিলে অধিক দরূদ শরীফ পড়াকে সময় নষ্ট হিসাবে মূল্যায়ন করে। অথচ অধিক দরূদ শরীফ পাঠ কিয়ামত দিবসে হুযুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে নিকটে অবস্থানের একমাত্র উসিলা হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।"  (মিশকাত শরীফ)।

৩. ওহাবীগণ আযানের পর হাত তুলে মোনাজাত করে না। অথচ তাদেরই লিখিত "এমদাদুল ফতোয়া" কিতাবে এ মোনাজাত বিশুদ্ধ বলে উল্লেখ রয়েছে।

৪. খাবার পর শোকরানা মোনাজাত করে না।

৫. কোরআন শরীফ পাঠান্তে শুধুমাত্র “সাদাকাল্লাহুল আলিউল আযীম' বলে থাকে। "ওয়াসাদাকা রাসুলুহুন্নাবীউল করিম" বলে না। অথচ ওহাবীদের প্রকাশিত কোরআন শরীফের শেষেও “ওয়াসাদাকা রাসুলুহুন্নাবীউল করিম" বর্ণিত আছে।

৬. হাটহাজারী পন্থী ওহাবীগণ-পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পরও মোনাজাত করে না। অবশ্য অন্যান্য ওহাবীগণ ফরয নামাযের পর সম্মিলিতভাবে মোনাজাত করে। হাটহাজারীর মুফতি ফয়জুল্লাহর ফতোয়া খণ্ডন করে কিতাবও লিখা হয়েছে।

৭. তাদের ওয়ায নসিহতে নবী-অলীর শান-মান ও মর্যাদার কোন আলোচনা স্থান পায় না।

৮. শ্লোগানের বেলায় কেবলমাত্র "আল্লাহু আকবর” ধ্বনি উচ্চারণ করে থাকে। নারায়ে রেসালাত-ইয়া রাসুলাল্লাহ" বলে না। কারণ তাদের মতে "ইয়া রাসুলাল্লাহ" বলা শিরক। (তাকবিয়াতুল ঈমান )।

৯. দাফনের পর “কবরে তালকীন" করে না। অথচ হাদিস শরীফে মৃত বক্তিকে “তালকীন" করার নির্দেশ এসেছে। (ফতোয়া-এ-শামী)।

১০. হুযুর করিম সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারক সম্মান সূচক শব্দ দ্বারা উল্লেখ করে না। প্রায় সময় এভাবেই বলে থাকে, পয়গম্বর ছাহেব বা আল্লাহর পয়গাম্বর।

©(সংকলন- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা।
লেখকঃ- মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফী)।
★পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করার অনুরোধ রইল।
আমাদের সাথে থাকুন-

Comments

Popular posts from this blog

ছবছে আওলা ও আ'লা হামারা নবী।

পিডিএফ বই ২৮ টি একত্রে।

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।