মাযহাব ও তরিকার পারস্পরিক সেতু বন্ধন।
★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।
★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★
★ পোস্ট নং--২৬
★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
♦মাযহাব ও তরিকার পারস্পরিক সেতু বন্ধন♦
মাযহাব ও তরীকত উভয়ের মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তাইতো মাযহাবের মহান ইমামগণ আধ্যাত্মিক উৎকৰ্ষ সাধনের লক্ষ্যে ইমাম হয়েও তরীকতের ইমামের শরণাপন্ন হয়েছেন।হযরত ইমাম আযম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইমাম জাফর সাদেক রাহমাতুল্লাহি আলাইহির দীক্ষা গ্রহণ করেছেন।তিনি বলতেন আমি যদি তার দরবারে কিছু কাল সংস্পর্শে না থাকতাম তাহলে ধ্বংস হয়ে যেতাম। অন্যান্য ইমামদের বেলায়ও একই দৃষ্টান্ত দেখতে পাই।অপরদিকে তরীকতের মহান ইমামগণ শরীয়তের বিধি বিধান পালনে চার মাযহাবের যে কোন একটির তাক্বলীদ করেছেন। চিশতীয়া তরীকার ইমাম সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নেওয়ায রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন। মাযহাবের দিক থেকে হানাফী। হযরত সেহাবুদ্দীন ওমর সোহরাওয়াদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন শাফেয়ী। হযরত গাউসে আযম মাহবুবে সোবহানী শেখ সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন হাম্বলী-এ- আকবর মুহিউদ্দীন ইবনে আরবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। হযরত শেখ ছিলেন মালেকী। (তারিখ ইলমে ফিকহ)। মাযহাব ও মাশরাব (তরীকা) এর মধ্যে কোন প্রকার বৈপরিত্ব নেই; বরং পরস্পরের মধ্যে রয়েছে গভীর সেতুবন্ধন। বিশ্বের অসংখ্য হানাফী মাযহাবের অনুসারী গাউসে আযম হযরত শেখ আবদুল কাদের জিলানী হাম্বলী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির তরীকা-এ-আলীয়া কাদেরীয়ার অনুসারী। অনুরূপভাবে হানাফী অধ্যুষিত বাংলাদেশের সকল সুন্নী মুসলমান হযুর গাউসে আযম রাহমাতুল্লাহি আলাইহির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন।
অতএব, ভিন্ন ভিন্ন নাম ও আমলের পদ্ধতিগত পার্থক্য থাকলেও মাযহাব ও যাশরাবসমূহের মধ্যে মূলতঃ কোন বৈপরিত্য নেই।কারণ, মাযহাব ও তরীকতগুলো ইসলামের একমাত্র সঠিক রূপরেখা ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের' উপরই প্রতিষ্ঠিত। মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্ট সকল দলাদলি ও অনৈক্যের মূল কারণ হলো-আকীদাগত মতপার্থক্য । এটি যতক্ষণ দূরীভূত হবে না ততোক্ষণ পর্যন্ত দল-উপদলে বিভক্ত মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হবার সম্ভাবনাও নেই।
(সংকলন- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা।
লেখকঃ- মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফী)।
★ পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করার অনুরোধ রইল।
আমাদের সাথে থাকুন-
Comments
Post a Comment