রবিউল আওয়ালের ১ম ১২ রাত্রির আমল।
★আস্সালামু আলাইকুম।
★শরীয়তের আলোকে মিলাদুন্নাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
★ পোস্ট নং----০১
★ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
***মাহে রবিউল আওয়াল শরীফের
আমল***
১ম রাত্রির আমল
______________________
১| এশার নামাজের পর আট সালামে ১৬রাকাত
নামাজ।
প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার
সূরা ইখলাস ।
সালাম ফিরানোর পর নিন্মের দরূদ শরীফ
এক হাজারবার পড়বে ।
*আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মাদিনীল
নাবিয্যীল
উম্মী ওয়া রাহমাতুল্লাহী ওবারাকাতুহু ।
উক্ত নামাজ ও দরূদ শরীফের উছিলায়
নবী করিম (দঃ) এর যেয়ারত ও দীদার
স্বপ্নে নসীব হবে । এ জন্য অযু অবস্হায়
থাকা উত্তম।
২| দু রাকাত নফল নামাজ। প্রত্যেক
রাকাতে সূরা ফাতেহার পর তিনবার
সূরা ইখলাস ।
সালামের পর নিন্মের দরূদ শরীফ পাঠ করবে।
*২য় রাত্রির আমল*
_____________________
এ রাত্রিতে হযরত আমেনা (রাঃ) এর
উদ্দেশ্যে মানব জাতির কল্যানের প্রতিক
এবং মুক্তির সনদ হুযুর (দঃ) এর শুভাগমনের
মাধ্যমে তাঁর বিশেষ মাকসদ পূর্ণ হওয়ার
সুসংবাদ দেয়া হল ।
*এ রাত্রিতে হুজুর (দঃ) এর উপর দরূদ
শরিফ পাঠ করে মিলাদ পড়বেন ।
এবং আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত
করবেন ।
*৩য় রাত্রির আমল*
হযরত আমেনা (রাঃ) কে আল্লাহ তায়ালার
পক্ষ থেকে বলা হয় যে . নূরানী সত্তার
শুভাগমনের সময় ঘনিয়ে এসেছে।যিনি আমার
প্রসংসায় নিমজ্জিত থাকবেন এবং আমার
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন।
** চার রাকাত নফল নামাজ দুই
নিয়তে পড়বেন. সুরা ফাতেহার পর আয়াতুল
কুরসী একবার । (যদি সম্ভব হয়
সূরা ত্বহা ,সূরা ইয়াসিন তিনবার করে পাঠ
করবেন) সালামের পর দরূদ শরীফ পাঠ
করে সালাতু সালাম পেশ করে হুযুরের (দঃ)
নূরানী রুহে সাওয়াব পেশ করবেন।
*৪র্থ রাত্রির আমল*
হযরত আমেনা (রাঃ)
সুস্পষ্ঠভাবে ফেরেশতাদের তাসবিহ পাঠ
করতে শুনেন এবং আল্লাহর হাবীব (দঃ) এর
প্রতি সালামি পাঠ আরজ করে প্রশংসা পাঠ
করতে শুনেন ।
**এ রাত্রে হুযুর (দঃ) এর আগমনের
সূচনালগ্নে দু'রাকাত শোকরানা নামায
সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস তিনবার পাঠের
মাধ্যমে পড়বেন এবং মিলাদ শরীফ পাঠ
করতঃ আল্লাহর দরবারে এ মহান নেয়ামতের
ওসীলায় নাযাত লাভের জন্য মোনাজাত
করবেন।
*৫ম রাত্রি*
এ রাত্রিতে হযরত আমেনা (রাঃ) এর
সমীপে হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আঃ)
তাশরীফ এনে আল্লাহর হাবীবের শুভাগমনের
সুসংবাদ দিয়েছিলেন।
*** হুযুর (দঃ) এর আগমনের
শুকরিয়ার্থে দু'রাকাত নামায সূরা ফাতেহা ও
তিনবার সূরা ইখলাসের মাধ্যমে আদায়
করবেন । সালাত সালাম পাঠ করে হুযুর (দঃ)
এর মাতা পিতার রূহে সাওয়াব পৌছাবেন
এবং সকলের জন্য হুযুর (দঃ) এর
ওসিলা নিয়ে আল্লাহর রহমত কামনা করবেন।
*৬ষ্ঠ রাত্রির আমল*
এ রাত্রিতে হযরত আমেনা (রাঃ) সমগ্র
পৃথিবীতে অনেক নূর প্রকাশিত হতে দেখেছেন। তাই ঐ রাত্রিও দুনিয়াবাসীদের জন্য
বরকত ও ফজিলত পূর্ণ।
***এ রাত্রিতে হুযুরের নূরের
ওসিলা নিয়ে দু'রাকাত নফল নামাজ .
সূরা ফাতেহা ও তিনবার সূরা ইখলাসের
মাধ্যমে পড়বেন। সালামের পর সালাত-সালাম
পাঠ করে বিশেষ দোয়া করবেন।
***৭ম রাত্রির আমল***
ফেরেস্তাগন হযরত আমেনা (রাঃ) এর ঘর
মোবারক যেয়ারত করে তাঁকে শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন জানান। এই রাত্রেও
শুকরানা আদায় করে দুই রাকাত নফল নামাজ
সূরা ফাতেহা ও তিনবার সূরা ইখলাস পাঠের
মাধ্যমে আদায় করবেন।
পরে সালাত-সালাম
পাঠ করে মোনাজাত করবেন।
***৮ম রাত্রির আমল***
এ মহান রজনীতে হযরত আমেনা (রা)
কে সুসংবাদ দেয়া হল যে . হযরত নূর নবী (দঃ)
অতি সন্নিকটে। ফলে তিনি আল্লাহর
ইবাদতে মগ্ন হয়ে গেলেন এবং নূরের আলোক
রশ্মিতে গায়বি জগত দেখতে পেলেন ।
**এ রাত্রিতেও মা আমেনার ন্যায় বিশেষ
ইবাদত তাসবিহ তাহলিল দরূদ আদায় করবেন।
যেতে করে অদৃশ্য রহমত নেয়ামত
প্রাপ্তিতে ধন্য হতে পারেন এবং পূর্বের
নিয়ম অনুযায়ী দু রাকাত নফল নামাজ পড়বেন।
*৯ম রাত্রির আমল*
ফেরেস্তাগন হযরত আমেনা (রা)
কে আল্লাহর মেহেরবানীর সুসংবাদ দিলেন।
এতে করে আমেনা (রা) ভয়ভীতি দূর হয়ে যায়।
***উক্ত রজনীতে আল্লাহর অলেষ করুনার
শুকরিয়ার্থে নফল ইবাদত স্বরুপ নফল
নামাজ পূর্বের নিয়মে আদায় করবেন।নূর
নবী (দঃ) এর উপর অসংখ্য দরূদ সালামের
হাদিয়া পেশ করে আপন জিবনের বিভিন্ন ভয়
ভীতি ও বিপদ -আপদ হতে মুক্তি লাভের
উদ্দেশ্যে মুনাজাত করবেন।
**দশম রাত্রির আমল**
হযরত আমেনা (রা) এর মধ্যে এক অনাবিল
আনন্দ সৃষ্টি হল এ মহান রজনীতে।
সে অবস্হায় তিনি অদৃশ্য জগতে আনন্দের
পরিবেশ দেখতে পালেন এবং আল্লাহর
ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে মগ্ন হয়ট গেলেন।
**এ রজনীতে পূর্বের ন্যয় দুরাকাত নফল
নামাজ আদায় করবেন। সালামের পর হুজুরের
(দঃ) প্রতি দরূদ সালাম হাদিয়া পেশ
করে মোনাজাত করবেন এবং ৩৬০বার
সূরা ইখলাস খতম দিবেন।এবং ১০০বার
নিন্মের দরুদ শরীফ পাঠ করবেন।
***সাল্লাল্লাহু
আলাকা ইয়া রাসূলাল্লাহি.ওয়াসাল্লামা আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহী।
**১১তম রাত্রির আমল**
এ রাত্রিতে হযরত আমেনা (রা) দেখলেন.
আসমান ও
জমিনবাসী একে অপরকে আল্লাহর হাবীবের
শুভাগমনের সুসংবাদ দিচ্ছে।ঐ রাত্রিতেও
পূর্বের নিয়মে নফল নামাজ আদায় করবেন।
এবং নিন্মের দরূদ শরীফ ১০০বার পাঠ
করবেন।
**সাল্লাল্লাহু আলান্নাবীয়্যীল
আরাবী ওয়া রাসূলিল
আবতাহী ওবারাকা ওয়াসাল্লিম।
**১২তম রাত্রির আমল**
ঐ রাত্রিতট হযরতে আমেনা (রা) রাত্রির ১ম
ভাগে ফেরেস্তাদেরকে সুসংবাদ
দিতে শুনেছেন।শেষভাগে তাঁর মধ্যে একটু
বেদনা সৃষ্টি হল । ঘরের
মধ্যে তিনি একাকি ছিলেন । হুজুর (দঃ)
কে গর্ভ ধারনের ব্যাপারে কোরাইশের কোন
মহিলা জানত না. এই দিকn তাঁর মধ্যে ভয়
সৃষ্টি হল. বাহিরে শুরগোল আওয়াজ
শুনতে লাগলেন।হঠাত্ করে দেখলেন কিছু
সুন্দরী মহিলা হাজির হলেন।তিনি বলতে
লাগলেন আমার গর্বের ব্যাপারে কোরাইশের
কোন মহিলা জানে না।
আপনারা কিভাবে জানলেন?
তারা বললেন.আমরা বেহেস্ত হতে এসেছি.১জন
বলল আমি হাওয়া.আরেকজনের
দিকে ইশারা করে বলল
ইনি বিবি আছিয়া.উনি বিবি মরিয়ম.অন্যরা বেহেশতেয়
হুর।আপনার খেদমত করার জন্য
এসেছি এবং ঐ নবীকে অভ্যর্থনা জানানোর
জন্য।এরপর হঠাত্ করে ১টি সাদা রঙের
পাখি উপস্হিত হয়ে তার ডানা দিয়ে
আমেনা(রা) এর পেট মোবারকের উপর
বুলিয়ে দিলেন।এরপর তার মনের ভয় পশমিত
হল।
চলবে....
©তথ্য সংকলন- মাহে নুর রবিউল আউয়াল শরীফের তোহফা।
pdf link....
বইঃ মাহে নূর রবিউল অাউয়াল শরীফের তোহফা।pdf.
প্রণেতাঃ আলহাজ্ব মুফতী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ।
Pdf by- আবদুল্লাহ্ আল নোমান
page:28.
size:3mb.
Downloade link....
https://drive.google.com/file/d/1F3Jpgc8I7W2Eu51CLbRTAD_YXq2t2qh-/view?usp=drivesdk
ছোট্ট রিসালাটিতে মাহে রবিউল আউয়ালের ১২ রাত্রির আমল ও ফযিলতের বর্ণনা রয়েছে।
পড়তে মিস করবেন না।
♣ সবাই শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।
Comments
Post a Comment