শিয়া ও জাহমিয়া ফিরকা।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।
★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★
★ পোস্ট নং--১৫

★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

♦শিয়া ও জাহমিয়া ফেরকা♦

♣শিয়া ফেরকা♣

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহ তাআলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর করিম সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তোমার দৃষ্টান্ত কিছুটা ঈসা আলাইহিস সালামের মত। ইয়াহুদীগণ তার প্রতি শক্ৰতা পোষণ করত।তাঁর মা (হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম) এর প্রতি অপবাদ দিয়েছে। আর নাসারাগণ তাকে অধিক ভালবেসে তাকে ঐ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করলো, যা তার জন্য শোভনীয় নয়। অর্থাৎ (তাকে ইবনুল্লাহ বা আল্লাহর পুত্র বলে আীদা পোষণ করে)। অতঃপর হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন,আমাকে কেন্দ্র করে দু'ব্যক্তি (অর্থাৎ দু'ধরণের মানুষ ধ্বংস হবে)

*প্রথমতঃ আমাকে সীমাতিরিক্ত মুহাব্বতকারী, যে আমার এমন প্রশংসা করবে যা আমার মধ্যে বিদ্যমান নেই।

*‎দ্বিতীয়তঃ আমার প্রতি শক্ৰতা পোষণকারী; এটা তাকে আমার প্রতি অপবাদ দিতে উৎসাহিত করবে। (মাসনাদে আহমদ)

আলোচ্য হাদিসে হযরত মাওলা আলী মুশকিল কোশা রাদিয়াল্লাহ তা'আলা আনহুকে সীমাতিরিক্ত মুহাব্বতকারী বলতে শিয়াদেরকে বুঝানো হয়েছে। আর তার প্রতি শক্ৰতা পোষণকারী বলতে খারেজীদেরকে বুঝানো হয়েছে। উভয় দল হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে কেন্দ্র করে চরম লাগামহীনতার পরিচয় দিয়েছে। একমাত্র আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতই হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর মর্যাদার যথাযথ সংরক্ষণ করেছে।

♣জাহমিয়া ফিরকা♣
ভ্রান্তদলটির প্রতিষ্ঠাতা হলো জাহাম ইবনে সাফওয়ান। তার নামানুসারে ফিরকার নামকরণ করা হয়েছে জাহমিয়া ফিরকা। এদের খন্ডনে জগত বরেণ্য মুহাদ্দিসীন কেরাম হাদিস গ্রন্থে পৃথক পৃথক অধ্যায় নির্ণয় করেছেন। ইমাম বোখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার সহীহ বোখারী শরীফ দ্বিতীয় খণ্ডে-কিতাবুর রদ আলাল জাহমীয়া” শিরোনামে অধ্যায় রচনা করেছেন। অনুরূপভাবে, ইমাম ইবনে মাজা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার সুনানে ইবনে মাজায়” “বাবুন ফী মা আনকারাতিল জাহমীয়া” শিরোনামে পৃথক অধ্যায় পেশ করেছেন।
সালাম ইবনে আহওয়ায আলমাযানী জাহাম ইবনে সাফওয়ানকে তার একশ ত্রিশ জন অনুসারীসহ হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রথম দিকে উমাইয়া শাসনামলে মরক্কোতে হত্যা করে। এ দলটি আল্লাহ তা'আলার চিরন্তন গুণাবলীকে অস্বীকার করার বেলায় মোতাযেলা ফিরকার সাথে একমত। এছাড়াও তাদের আরো কিছু ভ্রান্ত আক্বীদা রয়েছে -

*একঃ সৃষ্টিকে গুণান্বিত করা হয় এমন কোন গুণে আল্লাহ তা'আলাকে গুণান্বিত করা যাবে না। যেমন- আলেম (জ্ঞানী), “হাই" (জিবীত) ইত্যাদি।

*দুইঃ মানুষের কোন ইচ্ছা ও স্বাধীনতা নেই; মানুষ অনেকটা পাথরের মত।

*তিনঃ জান্নাত ও জাহান্নামের অধিবাসীগণ প্রবেশ করার পর সেগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। এধরণের আরো বহু ভ্রান্তআকীদা রয়েছে এ দলের । এ দলটি মূলতঃ জাবরীয়া ফিরকারই অন্তর্ভুক্ত।  (কিতাবুল মিলাল ওয়ান্নাহাল ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৯-১১১)।

(সংকলন- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা।
লেখকঃ- মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফী)।
★ পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করার অনুরোধ রইল।
আমাদের সাথে থাকুন-
facebook.com/meitobimarenabiho

Comments

Popular posts from this blog

ছবছে আওলা ও আ'লা হামারা নবী।

পিডিএফ বই ২৮ টি একত্রে।

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।