খারেজিদের প্রকারভেদ।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।
★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★
★ পোস্ট নং--১৩
★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

★খারেজিদের প্রকারভেদ।

কাযী আবু বকর ইবনে আরবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন_খারেজীগণ দুই ভাগে বিভক্ত-
(১) একদল বিশ্বাস করে যে, হযরত ওসমান, হযরত আলী, আমীরে মুয়াবিয়া, আমর ইবনে আ'স এবং জমল’ ও সিফফিনের যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীগণ ও সালিশ নির্ধারণে সন্মতি প্রদানকারী সকলেই কাফের।

(২) অপরদল বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেক কবীরা গুণাহকারী চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।
আবুল মানছুর বাগদাদীর মতে _খারেজীরা বিশ ভাগে বিভক্ত। (ফতহুল বারী)।

★খারেজিদের ভ্রান্ত আক্বিদার সম্প্রসারন★

হুযুর সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকারকৃত প্রাণী থেকে বেরিয়ে যায়। এবং এদের হত্যার পেছনে হুযুর সাল্লাল্লাহ তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের সওয়াব ঘোষণা দ্বারা মুজতাহিদ ইমামগণ এদেরকে কাফির সাব্যস্ত করেছেন। ইমাম বোখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি, কাযী আবু বকর ইবনে আরবী,ইমাম তল্লীউদ্দিন ছুবকী, ইমাম কোরতাবী ও আল্লামা কাজী আয়ায প্রমুখ প্রখ্যাত ইমামগণ উল্লেখিত হাদিস সমূহের আলোকে খারেজীদেরকে কাফির বলে ফতোয়া দিয়েছেন। যদিও তারা নামায পড়ে, রোযা রাখে, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি ইসলামী বিধি-বিধান পালন করে।
খারেজীদের কুফরীর পেছনে আর একটি সূত্র হলো হুযুর সাল্লাল্লাহ তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে কুফরীর অপবাদ দেবে , কুফরী তার প্রতিই প্রত্যাবর্তন করবে। (মুসলিম শরীফ)। একথা প্রমাণিত সত্য যে, খারেজীগণ সাহাবা কেরামের এক জামাআতকে কাফের বলে ঘোষণা দিয়েছিল (নাউযুবিল্লাহ)। যার মধ্যে হযরত আলী এবং হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমার নাম উল্লেখযোগ্য। (ফতহুল বারী শরহে বোখারী, পঞ্চদশ খণ্ড পৃষ্ঠা ৩২৯, ৩৩০)। সুতরাং আলোচ্য হাদিসের আলোকেও খারেজীগণ কাফির সাব্যস্ত হয়।
(সংকলন- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা।
লেখকঃ- মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফী)।
★ পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করার অনুরোধ রইল।
আমাদের সাথে থাকুন-
facebook.com/meitobimarenabiho

Comments

Popular posts from this blog

ছবছে আওলা ও আ'লা হামারা নবী।

পিডিএফ বই ২৮ টি একত্রে।

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।