খারেজিদের কুফা ত্যাগ, প্রথম ভ্রান্ত আক্বিদা,তখনকার অরাজনৈতিক পরিস্হিতি।

★আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্।
★ প্রজেক্ট- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা★
★ পোস্ট নং--১১

★বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
           ★খারেজিদের কুফা ত্যাগ★

খারেজীরা যখন কুফা ত্যাগ করে মাদায়েনে গিয়ে সমবেত হলো, তখন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহ তা'আলা আনহু তাদেরকে হেদায়ত করার উদ্দেশ্যে হযরত ইবনে আব্বাস, হযরত আবু আইয়ুব আনসারী ও হযরত কায়স ইবনে সায়াদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমকে পাঠালেন কিন্তু এ উদ্যোগ ফলপ্রসু হলো না; বরং তারা জেদ ধরল এবং সালিশ নিয়োগের কারণে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে কাফের ঘোষণা দেয় এবং তাকে তাওবার আহবান জানায়। অতঃপর আলী রাদিয়াল্লাহ তা'আলা আনহু পুনরায় দূত পাঠালে তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করে।

          ★খারেজিদের প্রথম ভ্রান্ত আক্বিদা★

“যে ব্যক্তি তাদের আকীদা পোষণ করবে না সে কাফের। তার জানমাল এবং পরিবার-পরিজন তাদের জন্য হালাল।" অতঃপর তারা এ ভ্রান্ত আকীদা প্রচার করতে লাগলো এবং ঐসব মুসলমানদেরকে হত্যা করতে আরম্ভ করলো যারা তাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে খাব্বাব ইবনে আরত, যিনি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর পক্ষে ঐ এলাকার গভর্ণর ছিলেন, তাদের পাশ অতিক্রম করায় ও হযরত ওসমান এবং হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমার প্রশংসা করার কারণে হত্যা করে এবং তাঁর অন্তঃসত্বা স্ত্রীর পেট কেটে ফেলে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য হারেস ইবনে মুররাহ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে পাঠালে তারা তাকেও শহীদ করে ফেলে।

          ★তখনকার রাজনৈতিক পরিস্হিতি★

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উভয় পক্ষের মনোনীত সালিশ- হযরত মুসা আশয়ারী ও হযরত আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমার মীমাংসা প্রস্তাবনা যথার্থ অর্থাৎ কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক না হওয়াতে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উক্ত ফয়সালা মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং পুনরায় যুদ্ধের প্রস্তুতির লক্ষ্যে কুফার জামে মসজিদে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন এবং পুনরায় সিরিয়া আক্রমণের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন।
এমতাবস্থায় খারেজীদের অশুভ তৎপরতা এবং হত্যাযজ্ঞ দেখে বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ সিরিয়া আক্ৰমণ মূলতবী করে খারেজীদের মূলোৎপাটনের উপর জোর দেয়।খারেজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সকল সাহাবা কেরামদের নিকট পছন্দনীয় ছিল। কারণ,হুযুর সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ফিতনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যাপারে তাগিদ দিয়ে এরশাদ করেছিলেন,“ঐ ব্যক্তির জন্য শুভ সংবাদ, যে খারেজীদের সাথে যুদ্ধ করে আর যুদ্ধ করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করে” (মিশকাত শরীফ)।
অপর হাদিসে এরশাদ করেন, তাদেরকে হত্যা কর । কেননা, তাদের হত্যা করাতে মুজাহিদের জন্য কেয়ামত দিবসে বড় সওয়াব রয়েছে । (বোখারী শরীফ)।

(সংকলন- ইসলামের মূলধারা ও বাতিল ফিরকা।
লেখকঃ- মাওলানা কাযী মঈন উদ্দিন আশরাফী)।
★ পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করার অনুরোধ রইল।
আমাদের সাথে থাকুন-
facebook.com/meitobimarenabiho

Comments

Popular posts from this blog

ছবছে আওলা ও আ'লা হামারা নবী।

পিডিএফ বই ২৮ টি একত্রে।

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।