পবিত্র শবে বরাতের ফযিলত।
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
#পবিত্র_শবে_বরাতের_ফজিলত_পর্ব_1
অসংখ্য শোকরিয়া জানায় আল্লাহ
তায়ালার পাক দরবারে, যিনি শবে বরাতের
মাধ্যমে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।
অসংখ্য দরূদের হাদিয়া প্রেরণ করছি ঐ
নবীর পাক কদমে যার উছিলায়
আমরা শবে বরাত পেয়েছি এবং তাঁর
পরিবার ও আসহাবের উপর
যারা শবে বরাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর
ইবাদতে মগ্ন থাকতেন।
সম্মানিত পাঠক ভায়েরা! আপনার
অবশ্যই জানেন আমাদের দেশের কিছু
আলেম তাদের লিখুনি , বক্তব্য ও
বর্ণনার মাধ্যমে স্পষ্ঠ ভাষায় বলে দেয় ,
শবে বরাত বলতে কিছুই নেই। আবার
অনেকে দলিল দলিল দেয়,
সৌদি আরবে নাই,
আমাদের দেশে কোথা থেকে এল? তাদের
বড় দলিল সৌদি আরব।
সেখানে মিলাদুন্নাবী (দঃ), ওরস,
ফাতেহা,মাযার নাই,
এখানে কোথা থেকে এলো?
আমরা বলব, আমাদের দলিল সৌদি আরব
নাকি কোরআন-হাদিস?
আমাদের দেখা উচিত্ কোরআন
সুন্নাতে আছে কিনা?
আবার তাদেরকেও জানা দরকার ছিল,
সৌদি আরবে এগুলো ছিল কি না?
ইতিহাস পড়লে বুঝা যায় , আমাদের
দেশে যা চলে , মিলাদ,মাহফিল,ওরস
ইত্যাদি সেই সৌদি আরবেও ছিল।
সেখান থেকে আমাদের
দেশে বাস্তবে পেয়েছি যা কোরআন
সুন্নার রূপ রেখা। শবে বরাত
সম্পর্কে কুরআন সুন্নাতে কি রকম
বর্ণনা আছে তা থেকট
সংক্ষেপে বর্ণনা করব।
#মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-
হামীম- স্পষ্ট কিতাবের শপত, নিশ্চয়
আমি এই কিতাব বরকতময় রাত্রে নাযিল
করেছি, নিশ্চয় আমি সময় মোতাবেক
ভয়প্রর্দশনকারী, ঐ রাত্রে প্রত্যেক
প্রজ্ঞাময় কাজের ফয়সালা হয়। (সূরা-
দূখান)
উল্লেখিত আয়াতে বরকতময় রাত
বলতে , অনেক তাফসীরকারক শবে
বরাত কে উল্লেখ করেছেন কেননা ঐ রাতের
ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ
তায়ালা বলেন যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজের
ফয়সালা দেয়া হয়। আয়াতের সঠিক অর্থ
বুঝার জন্য আমাদেরকে হাদিসে রাসূল (দঃ)
দিকে দেখতে হবে।
হাদিসে আছে-
*হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
তিনি রাসূল (দঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল
(দঃ) বললেন, হে আয়েশা এই রাত্রে কি হয়
যান? অর্থ্যাত্ শবে বরাতঃ হযরত
আয়েশা (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলল্লাহপ(দঃ) এ
রাত্রে কি হয়? রাসূল (দঃ) উত্তরে বলেন,
আজ এমন রাত, যেই রাতে এই বছরে আদম
সন্তানদের মধ্যে কে কে ভুমিষ্ট
হবে তা লিখা হবে এবং আদম সন্তানের
মধ্যে কে কে মারা যাবে তা লিখা হবে। এই
রাতে তাদের আমল উঠানো হবে।
তাদের রিযিক নাযিল করা হবে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন ইয়া রাসূলল্লাহ
(দঃ) আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ
কি জান্নাতে যেতে পারে?
রাসূল (দঃ) বললেন না।
একথা তিনি তিনবার বললেন।
তখন হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন,
ইয়া রাসূলল্লাহ আপনি তো নয়? অতঃপর
রাসূল (দঃ) নিজের হাত মাথায় রেখে বললেন
আমি নয়, কারণ আল্লাহ তায়ালা পূর্বেই
আমাকে আপন রহমতে ঢেকে নিয়েছেন।
তিনবার বলেছেন(ইমাম বায়হাকী, তাঁর
আদদাওয়াতুল কবিরে ,মিশকাত)। উল্লেখিত
আয়াত ও হাদিস সামনে রাখলে বুঝা যায়।
"লাইলাতুল মোবারক" বলতে "লাইলাতুল
বরাত" যেই রাতে গুরুত্ব পূর্ণ কাজের
ফয়সালা হয়।
এ ব্যাপারে আরো হাদিস পাওয়া যায়-
*ইবনে আবিদ্দুনীয়া হযরত আত্বা বিন
ইয়াসার (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন, শাবানের
১৫তারিখ রাত্রিতে মালাকুল মাউত ব
আজরাঈল (আঃ)
কে একটি তালিকা দেওয়া হয় এবং বলা হয়,
এই তালিকায় যার নাম আছে তার রূহ কবজ
কর।
অথচ মানুষ সেদিকে লক্ষ্য করে না,
পৃথিবীতে বেচেঁ থাকার জন্য সুন্দর বিছানা,
বিয়ে-শাদী,দালান-কোটা তৈরী করে, তার নাম
মৃত ব্যাক্তিদের তালিকায় লিপিবদ্ধ
হয়ে গেছে। (শরহে সূদুর, পৃষ্ঠা -৩৪)।
*উল্লেখিত হাদীস গুলোকে সামনে রেখে হুজুর
গাউসে আযম দস্তগীর (রাঃ) তাঁর
কিতাবে কাব্য আকারে বর্ণনা করেন,
*কত মানুষের কাপনের কাপড় এই
রাত্রিতে ধোলাই করা হয় অথচ সেই
ব্যাক্তি তার কাজে বাজারে ব্যস্ত আছে।
*কত মানুষের কবর খনন করা হয়েছে অথচ
সেই ব্যক্তি আনন্দে দিন কাটায়।
*কত মানুষের দালান- কোটা পরিপূর্ণ
হয়েছে (থাকার জন্য) কিন্তু তার বিনাশ
আবশ্যক হয়ে গেছে।
*কত মানুষ বাদশা , নেতা হওয়ার
আশা করে অথচ এই বছরেই তার মৃত্যু
লিখা হয়ে গেছে । (গুনিয়াতুত তালেবীন)
#হাদিসের_আলোকে_শবে_বরাতের_
ফজিলতঃ_ ইনশা আল্লাহ এখান
থেকে পরবর্তী পর্বে আলোচনা হবে সাথে থাকুন।
মাইতোঁ বিমারে নবীহোঁ
(তথ্যসুত্রঃ রোজা,যাকাত ও শবে বরাতের
গুরুত্ব- মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ
ওমাইর রজভী- ৪৭-৪৯পৃঃ)
#পোষ্ঠটি_পড়ার_জন্য_শোকরিয়া-
#আরাফাত
Comments
Post a Comment