ফিরিশতাদের কিয়াম দিবা-রাত্রী ২৪ ঘন্টা।
***মিলাদ কিয়ামের বিধান-**৬**
ফেরেস্তাদের কিয়ামঃ দিবা-রাত্রি ২৪ঘন্টা
আল্লাহ ৭০হাজার ফেরেস্তা সর্বদা হুজুরের
রওজা মোবারকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নূরের
পাখা রওযা মোবারকে সামিয়ানার মত
বাস্তার করে দরূদ ও সালাম পেশ করে থাকেন
। অথচ আমরা ফেরেস্তাদের অনুকরণে ৫/১০
মিনিট দাঁড়িয়ে দরূদ ও সালাম পেশ
করলে বেদাত হয়ে যায় -বলে এক শ্রেণির
আলেম নামধারি ফতোয়া দেয়ে বসে ।
ফেরেস্তারাওকি তাহলে বেদায়াতে লিপ্ত?
হযরত নোবাইহাতা ইবনে ওহাব (রহঃ)
তাবেয়ী হতে বর্ণিতঃ একদিন হযরত কাব
আহবার (তাবেয়ী) হযরত আয়েশা (রাঃ) -এর
খেদমতে উপস্হিত হলেন । অতঃপর
সাহাবায়ে কেরাম তথায় নবী করিম (দঃ) -এর
শান-মানের বিভিন্ন
বিষয়ে আলোচনা করতে লাখলেন । হযরত
কা'ব বললেনঃ "এমন কোন দিন উদয় হয়না-
যে দিন ৭০হাজার ফেরেস্তা নাজিল
হয়ে রাসূল্লাহ (দঃ) -এর রওযা মোবারক
বেশ্টন করে তাঁদের নূরের পাখা বিস্তার
করে সন্ধা পর্যন্ত নবী করিম (দঃ) -এর
উপর দুরূদ ও সালাম পাঠ না করে । অতঃপয়
যখন সন্ধা হয়ে আসে . তখন
তাঁরা আকাশে আরোহন করেন এবং তাঁদের
অনুরূপ সংখ্যায় (৭০ হাজার)
ফেরেস্তা অবতরণ করে তাঁদের মতই দরূদ ও
সালাম পাঠ করতে থাকেন । আবার
কেয়ামতের দিন যখন জমিন
(রওযা মোবারক) বিদীর্ণ হয়ে যাবে . তখন
তিনি ৭০ হাজার ফেরেস্তা দ্ধারা বেষ্ঠিত
হয়ে প্রেমাস্পদের রূপ ধারন করে আসল
প্রেমিকের সাথে শীঘ্র মিলিত হবেন "-
(দারেমী ও মিশকাত-বাবুল কারামত
হাশিয়াসহ) । উপরে উল্লেখিত হাদীস
নিন্মোক্ত বিষয় গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও
প্রনিনেধানযোগ্যঃ
১। কা'ব আহবার (রহঃ) নবী করিম (দঃ) -এর
রওযা মোবারকে ৭০ হাজার ফেরেস্তা নাজিল
হতে নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন । এটি তাঁর
কারামতের প্রমান (লোমআত)
২। হযরত আয়েশা সিদ্দিকার (রাঃ)
উপস্হিতে কা'ব এ সাক্ষ দিয়েছেন ।
৩। রাওযা মোবারকে পালাক্রমে দিন-রাত ২৪
ঘন্টা মিলাদ ও কেয়াম হয় ।
৪। মিলাদ মাহফিল উত্তমভাবে আলোক
সজ্জিত করা ও সামিয়ানা টাঙ্গনো বৈধ ।
৫। নবী করিম (দঃ) কে সম্মান
প্রদর্শনার্থে দাঁড়ানোর জন্য চোখের
সামনে উপস্হিত থাকা শর্ত নহে । কেননা .
ফেরেস্তাদের চখের সামনে শুধু
রওযা মোবারক ছিল । চলবে ...
Comments
Post a Comment