মিলাদ কিয়ামের বিধান।
*মিলাদ কিয়ামের বিধান*
অধ্যক্ষ হাফেজ এম এ জলিল (এম এম , এম
এ , বিসিএস) : এই বই থেকে ধারাবাহিক
ভাবে পোষ্ঠ দিব . সবাই পড়বেন এবং শেয়ার
করবেন ।
এবং পারলে বইটি কিনে পড়ুন
যাতে বাতিলকে সব সময় দলিল দিতে পারেন ।
(অনুরুধ)
-(১)
নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেস্তাগন মহান
নবীর উপর দরুদ পড়েন । হে মুমিনগন!
তোমরাও নবীজির উপর দরুদ পাঠ কর
এবং সম্মানের সাথে সালাম জানাও ।
(সূরা আহযাব ৫৬) ।
১| উক্ত আয়াতের দুটি অংশ । ১ম
অংশে মহান নবীর উপর আল্লাহ ও তার
ফেরেস্তাগনের সদা-সর্বদা দরুদ পাঠের
সুসংবাদ প্রদান ।
২|আর ২য় অংশে মুমিনদের প্রতি দরুদ পাঠ
ও সালাম প্রেরণের নির্দেশ ।
৩। আল্লাহ ও ফেরেস্তাগনের সর্বদা দরুদের
নিশ্চয়তার সংবাদ ।
৪| আল্লাহ ও ফেরেস্তাগনের দরুদের সময়
নির্ধারণ । যখন থেকে তিনি নবী.তখন থেকেই
দরুদ শুরু।
৫|যতদিন তিনি নবী খেতাবে ভূষিত থাকবেন
ততদিন উক্ত দরুদ চালু থাকবে ।
৬| যখন আল্লাহর নাম নেয়ার মত কেউ
থাকবেনা- সব ধ্বংস হয়ে যাবে . তখনও
নবীজির দরুদ চালু থাকবে । কেননা , তখন
তো আল্লাহ থাকবেন । স্বয়ং আল্লাহ তাঁর
পড়ছেন ও ভবিষ্যতেও পড়বেন । আল্লাহর
জিকির সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে-যখন সব
ধ্বংশ হয়ে যাবে । কিন্তু নবীজির দরুদ বন্ধ
হবেনা ।
৭|আল্লাহর দরুদের অর্থ- নবীজীর ওপর
খাছ রহমত বর্ষণ ও তার শান বৃদ্ধিকরণ
(শেফা শরীফ) । ফেরেস্তাগনের দরুদের অর্থ
শান বৃদ্ধি করার প্রার্থনা করা এবং মুমিনের
দরুদেয় অর্থ নবীজীর জন্য রহমত
কামনা করে নিজেদের গুনাহ খন্ডন ও
রহমতের মর্তবা অর্জন করা ।
৮|দরুদ শরীফ আল্লাহ ও ফেরেস্তাগনের
আমল ।বান্দার অন্য কোন আমলে আল্লাহ
শরীক নন । একমাত্র দরুদের আমলেই শরীক
। নবীজির শান কত মহান ।
৯| নামাজের মধ্যে দরুদ ও সালাম নির্ধারিত
শব্দ যোগে আদায় করতে হবে । তাশাহ্হুদের
মধ্যে সালাম জানাতে হবে "আস্সালামু
আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু"
বলে এবং নামাজের মধ্যে দরুদ পড়তে হবে .
'আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা ছাইয়িদিনা মুহাম্মাদিন
বলে । এখানে অন্য কোন দরুদ ও সালাম
গ্রহন যোগ্য নয় । বোখারী শরীফ কিতাবুস
সালাত অধ্যায় দেখুন । কিন্তু নামাজের
বাইরে যে কোন দরুদ শরীফ পাঠ করা যাবে ।
অবশ্য সালাত এবং সালাম শব্দ দুটি অবশ্যই
দরুদে থাকতে হবে । যেমন: আস সালাতু
আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ
ইত্যাদি । দেওবন্দের মাওলানা হোসাইন
আহমদ মাদানীর 'শেহাবে সাকিব' দেখুন ।
১০|দরুদে ইবরাহিমা ছাড়া নামাজে অন্য দরুদ
শরীফ হবেনা ।কিন্তু মিলাদে . জিকির
মাহফিলে . অজিফায় . আমলে .
মসজিদে প্রবেশকালে বিভিন্ন রকমের দরুদ
শরীফ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত
আছে । শেফা শরীফে কাজী আয়াজ (রহঃ)
প্রায় ত্রিশ ধরনের দরুদ শরীফ
বর্ণনা করেছেন . তিনি হযরত বিবি ফাতেমা .
হযরত আলী . হযরত বেলাল . হযরত
ইবনে মাসউদ এবং নবীজির দরুদ শরীফ ও
উল্লেখ করেছেন । আয়াতে আল্লাহ
তায়ালা সালাত এবং সালাম পাঠ করার
নির্দেশ করেছেন । কিন্তু বিশেষ ধরণের
সালাত ও সালাম নির্ধারণ করে দেননি ।
সুতরাং সালাত ও সালাম শব্দদ্ধয় সম্বলিত
আরবী . বাংলা . উর্দূ . ফার্সি .
ইংরেজি যে কোন ভাষায় দরুদ শরীফ পাঠ
করার অনুমতি আছে । হ্যাঁ । আরবী ও
হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন দরুদ শরীফের
মর্তবা সকলের উর্দে । সুতরাং আমাদের
দেশে পঠিত সব রকমের দরুদ ই জায়েয ।
১১| নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন :
আল্লাহর নির্ধারিত ফেরেস্তাগন আমার
উম্মতের ছালাম আমার নিকট পৌছায় -
(মিশকাত) । তিনি আরও বলেন
( আনা আছমা উ ছলাতাকুম
আলাইয়া বিলা ওয়াছিতাতিন-"
আমি ফেরেস্তার মাধ্যম ছাড়াই
সরাসরি তোমাদের দরুদ
শুনতে পাই" (ওহাবী কিতাব জালাউল আফ্হাম
৭২পৃঃ-ইবনে কাইয়েম) ।
১২| উপরোক্ত ১১নম্বরে বর্ণিত হাদিস
দ্বারা প্রমানিত হলো নবী করিম (দঃ) স্ব-
শরীরে জিবীত এবং আমাদের দরুদ ও সালাম দু
প্রকরের শুণতে পান- ফেরেস্তার মাধ্যমে ও
সরেসরি ।
*ছালাতুন ইয়া রাছুলাল্লাহ আলাইকুম
*ছালামুন ইয়া হাবিবাল্লাহ আলাইকুম
সূত্রঃ মিলাদ কিয়ামের বিধান
১ও২নং পৃষ্ঠা থেকে নেওয়া ।
চলবে........১৬/১২/২০১৩ ।
দয়াকরে শেয়ার করুন . সবাই জানা দরকার ।
Comments
Post a Comment