যুগের ইমাম আযম।

যুগের আবু হানিফা
ইমাম আলা হযরত
রাহমাতুল্লাহ
আলাইহী রাহমাহ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
দিন হে ওয়েদিল
জূ তেরী ইয়াদ
ছে মা'মুর রাহা,
সরহে ওয়ে সর
জূ তেরে কদমোঁ
পে করবানো গিয়া
..........অর্থাৎ
সেটাই প্রকৃত হ্নদয়
যাতে রসুল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর স্মরণ দ্বারা
উদ্ভাসিত, সেই
লোকই প্রকৃত মুমিন
যে রসূলে খোদা
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর
পবিত্র শিয়রে
উৎসর্গপ্রাণ।
রসূল
প্রেমকে অন্তরের
গভার ধারণ করা এ
পঙক্তির
রচয়িতা হলেন
আলা হযরত আহমদ
রেজা খাঁন
(রাহমাতুল্লাহ
আলাইহী রাহমাহ) এই
রকম হাজার হাজার
নাতের
মাধ্যমে নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
ভালোবাসা প্রকাশ
করেছেন।
,,,
তিনি নিজেই
বলেছেন
আমার হ্নদয়কে
দু'টুকরো করলে
দেখা যাবে এক
টুকরোর ওপর "লা-
ইলাহা ইল্লাল্লাহু"
আর অপর
টুকরোতে "মুহাম্মদুর
রসূলুল্লাহ" (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
লিপিবদ্বৃ রয়েছে ।
তাঁর জীবন জুড়ে
ছিল
নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর প্রতি অকৃত্রিম
ভালোবাসা।
,,,
আলা হযরতের
লেখনিতে প্রকাশ
পেয়েছে নবী প্রেমের
গভীরতা, তাঁর
কণ্ঠে ধ্বনিত
হয়েছে ইশকে
রসূলের বিশালতা।
তাঁর রচনায়
ইশকে রসূল
এমনভাবে সঞ্চারিত
যেমন দেহের মধ্যে
রুহ বিরাজিত। এ
কারণে তাঁর অর্জনও
বিস্ময়কর ও ব্যাপক।
এ ব্যাপারে শায়খ
গোলাম মোহাম্মদ
বোরহান উদ্দিন
মাদানী লিখেন,তাঁর
মধ্যে রসূল
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর ভান্ডার থেকে
চিরস্হায়ী ধন
অর্জিত হয়েছে।
তিনি এ ধন মানুষের
মাঝে বিলি বন্টন
করেছেন।
,,,
আলা হযরতের
প্রতিভার দ্যুতি
ছড়াতে থাকে
শৈশব থেকেই।
মাত্র চার বছর
বয়সে পবিত্র
কোরআন পাঠ সমাপ্ত
করেন। ছয় বছর
বয়সে এক মাহফিলে
মিলাদে মোস্তফা
বিষয়ে সারগর্ভ
বক্তব্য রেখে তাক
লাগিয়ে দেন
শ্রোতাদের। ৩০
দিনে কোরআনের
হাফেজ হন। চৌদ্দ
বছরের ও কম
সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক
শিক্ষা শেষ করেন।
,,,
তিনি চতুর্দশ
শতাব্দীর শেষ্ঠ
মোজাদ্দেদ। ওই
সময়ে উপমহাদেশের
মুসলমানদের
অবস্হা ছিল
নাজুক, ধর্মীয়,
রাজনৈতিক,
সামাজিক ও
অর্থনৈতিক
ক্ষেত্রে এক হতাশা
ও নৈরাজ্যমূলক
পরিস্হতি বিরাজ
করছিল। ইংরেজরা
তাদের শাসন ও
শোষণকে দীর্ঘস্হায়ী
করার জন্য বেছে
নেয় নানা
কূটকৌশল। এর
অংশে হিসেবে মুসলমানদের
মধ্যে বিভ্রান্তির
বীজ বপন করে।
সৌদি আরবের
ইংরেজদের
পৃষ্ঠপোষকতায়
যেমন ওহাবীবাদ
প্রতিষ্ঠা পায় তেমনি
ভারতের দেওবন্দের
আলেম ও তাদের
অনুসারীদের তারা
হাত করে নেয়।
এরা ইসলামের
মৌলিক আক্বিদা
বিসর্জন দিয়ে
মুসলমানদের
মধ্যে ভ্রান্ত মতবাদ
প্রচার করতে থাকে।
এমন এক যুগ
সন্ধিক্ষণে একদিকে
ব্রিটিশ শোষণের
বিরুদ্ধে, অন্যদি
কে ইসলামের
নামধারী ভ্রান্ত
মতবাদের
বিরুদ্ধে শানিত
হয়ে ওঠে
আলা হযরত
আহমদ রেজা খাঁনের
কলম তরবারি।
বাতিলদের
অপব্যাখ্যা খন্ডন
করেন। তুলে ধরেন
ইসলামের মূল তত্ত্ব।
মুসলমানদের
হ্নদয়ে সঞ্চারিত
করেন ইশকে
রসূলের আলো।
বিভিন্ন বিষয়ে
চলতে থাকে তার
অবিরাম লেখনি।
এভাবে প্রায় ৫৫
বিষয়ে ১৫০০শত এর
উপরে কিতাব
রচনা করে তিনি
বিস্ময় সৃষ্টি করেন।
তিনি যে বিষয়ে
কলম ধরেছেন
সেটা হয়েছে
তথ্যনির্ভর অকাট্য
যুক্তি সম্বলিত,
সাবলীল ও
যুগোপযোগী।
সে কারণে তৎকালীন
বিশিষ্টজনেরা
তাকে আখ্যা দেন
ইলিমের
"এনসাইক্লোপিডিয়া"
প্রখ্যাত দার্শনিক
আশেকে রসূল
ড.আল্লামা ইকবাল
তাঁকে যুগের
আবু হানিফা
উল্লেখ করেন।
এ কলম সম্রাটের
রচনা সম্ভার বিশ্ব
মুসলিমের জন্য
অনন্য দলিল ও
মূল্যবান সম্পদ।
শরিয়ত ও তরিকতের
নির্যাস অন্বেষণে
যেমন মারেফতের
ভান্ডার শরিয়তের
পাবন্দী ছিলেন।
বর্তমানে ইসলামের
নামে আহলে কোরআন,
আহলে হাদিস,
কাদিয়ানী, ওহাবী,
জামাতি, লা-মাজহাবী
সহ বিভিন্ন বাতিল
ফেরকা মোকাবেলায়
আলা হযরতের
জীবন কর্ম
আহলে সুন্নাত
ওয়াল জামায়াত
তথা সত্যিকার
মুসলমানের জন্য
দিক নির্দেশক
ও পাথেয়।
,,,
আলা হযরত সম্বন্ধে
কতিপয় ভিন্ন
আক্বীদাবলম্বীর
অভিমতঃ
,,,
**মাওলানা আশরাফ
আলী থানভী বলেনঃ
আমার যদি সুযোগ
হতো,তাহলে আমি
মৌলভী আহমদ
রেযা খান বেরলভী
পেছনে নামাজ
পড়ে নিতাম।
(উসউয়া-ই-আকাবির
ঃ ১৮ পৃষ্টা)
তাঁর সাথে আমাদের
বিরোধিতার কারণ
বাস্তবিকপক্ষে হুব্বে
রসূল ( রসূলে করীমে
ভালবাসা)-ই।
তিনি আমাদেরকে
হুযুর সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের
প্রতি অশালীনতা
(বেয়াদবী)
প্রদর্শনকারী
মনে করেন।
(আশরাফুস
সাওয়ানিহঃপ্রথম
খন্ডঃ ১২৯ পৃষ্টা)
,,,
**মাওলানা আবুল
আলা মওদুদীর
অভিমতঃ মাওলানা
আহমদ রেজা খানের
ইলিমের-গরিমাকে
আমি আন্তরিকভাবে
শ্রদ্ধা করি। তিনি
বিধানাবলীর বিষয়ে
অত্যন্ত উঁচু মানের
ছিলেন। তাঁর এ
শ্রেষ্ঠত্বের কথা ঐ
সমস্ত লোককেও
স্বীকার করতে
হবে, যারা তাঁর
সাথে বিরোধ রাখে।
(মাক্বালাত-ই-ই
য়াউমে রেজাঃ ২য়
খন্ড,লাহোর
থেকে মুদ্রিত)
,,,
এখন যারা
আলা হযরত
আহমদ রেজা খান
(রহঃ) কে নিয়ে
অশালীন বক্তব্য
দেন আমি বলবো
তোমাদের মুরব্বিরা
আলা হযরত কে
শিকার করেছেন।
তোমরা কি বুজবা
আলা হযরতের
শান। তোমাদের
নাকে টিপ দিলে
দুধ বাহির হবে।
,,,
পড়া শেষে শেয়ার
করতে ভুলবেন না।
ছবি- আ'লা হযরত রহঃ এর ওফাত
শত বার্ষিকী কনফারেন্স ঢাকা এর খন্ডচিত্র।

Comments

Popular posts from this blog

ছবছে আওলা ও আ'লা হামারা নবী।

পিডিএফ বই ২৮ টি একত্রে।

খাজা গরীবে নেওয়াজ এর জিবনী।