আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ (রহঃ) এর দ্বীনি সংস্কার বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অনুকরণীয়।
আল্লামা তৈয়্যব শাহ্’র (রা.) দ্বীনি সংস্কার বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অনুকরণীয় : গাউসিয়া কমিটির সেমিনারে বক্তারা
---------------------------------------
গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.) ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, প্রচার এবং পুনরুজ্জীবনে বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকায় যে ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন তা বর্ণনাতীত। তিনি একদিকে তাঁর বুযূর্গ পিতা সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) এর প্রচারিত তরিকতের মিশন তথা ক্বাদেরীয় তরিকার মূল স্রোতধারাকে এগিয়ে নিয়েছেন। অপরদিকে আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা–উপজেলায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার মত অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ, খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের মূলধারার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সুন্নিয়তের পুনর্জীবন দিয়েছেন। তিনি ইসলামী সংস্কৃতির স্রোতধারাকে পুনরুজ্জীবীত করেছেন ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র জশনে জুলুছ ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) প্রবর্তন করার মাধ্যমে। জ্ঞান–বিজ্ঞানে উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে তিনি ইসলামী শিক্ষা– সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপশি প্রকাশনাও গড়ে তুলেছেন। পাঠক সমৃদ্ধ মাসিক তরজুমান প্রকাশনাসহ অনেক ধর্মীয় ও গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশনায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আল্লামা তৈয়ব শাহ (রহ.) এর পুনরুজ্জীবীত ইসলামী সংস্কৃতির বিষয়গুলো আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে তাঁর প্রবর্তীত জসনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) আজ অনুসরনীয় ও অনুকরণীয় হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষের কাছে বিশেষভাবে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.) আজ প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে আছেন। আল্লামা তৈয়ব শাহ (রহ.) বাংলাদেশে আগমন করে সুন্নিয়তের প্রচার, ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তার ও জাগরণে যে অবদান রেখে গেছেন তা এ দেশের কোটি মানুষ ধারণ করে সকল বাতিলের বিরুদ্ধে আদর্শিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত সিরিকোটি (র.) এর প্রতিষ্ঠিত মিশনকে এগিয়ে নিতে তাঁর পরবর্তী শাহজাদা আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.) ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন। বর্তমানে তৈয়ব শাহ (রহ.) এর ছাহেবজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ ও সাবির শাহ (মজিআ) এসব শিক্ষা ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কর্তৃক গতকাল রবিবার বিকালে নগরীর ষোলশহর এলজিডি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইসলামী সংস্কৃতির উন্নয়ন ও পুনর্জীবনে গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.)’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা একথাগুলো বলেন। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফী মিজানুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুলতান আহমদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ফিনল্যান্ড ফিনিস একাডেমির সিনিয়ার ফেলো ড. সেলিম জাহাঙ্গির, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এড. নাজিম উদ্দিন, কলামিস্ট ড. মাসুম চৌধুরী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান, ছোবহানীয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা হারুন উর রশিদ চৌধুরী। অতিথি ছিলেন আঞ্জুমান–এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মুহাম্মদ মহসীন, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি অধ্যাপক কাজী সামশুর রহমান, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার চেয়ারম্যান প্রফেসর দিদারুল ইসলাম। গাউসিয়া কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ এমএ. হামিদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূলবিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাউসিয়া কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব আনোয়ারুল হক। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল হক খান, সাংগঠনিক সচিব মাহবুব এলাহী সিকদার, অর্থ সম্পাদক আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাবিব উল্লাহ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক হোসেন পাপ্পু, অধ্যাপক কামাল উদ্দীন, সৈয়দ আবদুল লতিফ, কামরুল আহসান চৌধুরী, হাফেজ আজহারুল হক আজাদ, মনোয়ার হোসেন মুন্না, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এরশাদ খতিবী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মাশাআল্লাহ।
ReplyDeleteশোকরিয়া
ReplyDelete